শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মেঘনায় জাটকা ধরায় ৩৩ জেলে আটক

দুই জেলায় কোটি টাকার সরকারি ভূমি উদ্ধার দুই হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টকে জরিমানা
স্বদেশ ডেস্ক
  ২৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুরে মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে জাটকা ধরার দায়ে ৩৩ জেলেকে আটক করেছে টাস্কফোর্স। এছাড়াও দুই জেলায় ৫০টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অপরদিকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য তৈরি ও সংরক্ষণ করায় দুই হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টকে জরিমানা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত খবর-

চাঁদপুর প্রতিনিধি, জানান নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুরে মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে জাটকা ধরার দায়ে ৩৩ জেলেকে আটক করেছে টাস্কফোর্স। আটকদের মধ্যে ১৮ জনকে ১০ দিন করে কারাদন্ড, ছয়জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় ৯ জনকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মঙ্গলবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেন। রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর নৌ থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান।

কারাদন্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন মো. নুরু সরকার (২৭), খোরশেদ বন্দুকশী (৪০), মো. রাসেল ঢালী (২২), মো. হোসেন (২৫), মো. আরিফ আব্দুল করিম (২৫), আব্দুল শাহজাহান (১৮), আব্দুল কাশেম (২১), রবিউল গাজী (২০), বিলস্নাল হোসেন (১৯), রুবেল বেপারী (১৮), রাজিব শুক্কুর দেওয়ান (২৫), আব্দুর রহিম (৪০), খাজা বেপারী (৪০), ইব্রাহীম খলিল তালুকদার (৫২), জাকির রাঢ়ি (২৬), হাকিম খান (২৮)।

নিয়মিত মামলার আসামি জেলেরা হলেন- মিন্টুন খান (৩৫), শরীফ মিজি (২৮), আল-আমিন হোসেন (২৪), আমিন খাঁ (৩৩), সোহাগ (৩৪) ও মো. নোমান (২২)।

ওসি কামরুজ্জামান বলেন, সোমবার মধ্য রাত থেকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত অভয়াশ্রম এলাকায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) একরামুল ছিদ্দিকের নেতৃত্বে মৎস্য দপ্তর, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের যৌথ অভিযানে এসব জেলেদের আটক করা হয়।

এছাড়াও..

ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডবিস্নউটিএ)।

বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান সরকার।

উচ্ছেদকৃত ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে তিনটি খাবার হোটেল, কনফেশনারি, মুদি দোকানসহ ৩০টি স্থাপনা।

এর আগে চাঁদপুর আধুনিক নৌ বন্দর নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পূর্বে লঞ্চঘাটে থাকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে উচ্ছেদ করা হয় এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণের অর্থ দেওয়া হয়। এরপরেও এই ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে লঞ্চঘাটের আশপাশে জায়গা দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন।

চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহণ কর্মকর্তা মো. শাহদাত হোসেন বলেন, ৬৮ শতাংশ সম্পত্তির ওপর ৩০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি পাকা স্থাপনা রয়েছে। বন্দরের সম্পত্তিতে কোনো অবৈধ স্থাপনা থাকবে না। পর্যায়ক্রমে সবগুলো উচ্ছেদ করা হবে।

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি জানান

নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চত করার লক্ষে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে শ্যামা সুইটমিট ও শাহ হোটেল নামে দুটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ ফোর্সের সহযোগিতায় বুধবার শ্রীমঙ্গল শহরের হবিগঞ্জ রোড, স্টেশন রোডসহ বিভিন্ন জায়গায় খাদ্য উৎপাদনকারী ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে সচেতনতামূলক ও মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

উক্ত তদারকি অভিযানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য তৈরি ও সংরক্ষণ করা, খাদ্যপণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে হবিগঞ্জ রোডে অবস্থিত শ্যামা সুইটমিট অ্যান্ড রেস্টুরেন্টকে ১০ হাজার টাকা, স্টেশন রোডে অবস্থিত শাহ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও তা আদায় করা হয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী ন্যায্যমূল্যে প্রাপ্তি এবং নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তদারকি কার্যক্রম চলমান থাকবে।

হাওরাঞ্চল(কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি, জানান কিশোরগঞ্জের হাওড় অধু্যষিত অষ্টগ্রামে প্রায় কোটি টাকার সরকারি ভূমি উদ্ধার এবং ২০টির মতো অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার প্রায় পৌনে তিন ঘণ্টাব্যাপী এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অষ্টগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন অষ্টগ্রাম থানার ওসি মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। জানা গেছে, হাওড় অধু্যষিত অষ্টগ্রাম উপজেলার আদমপুর বাজার বেশ কয়েক বছর ধরে বাজারটির আশপাশের সরকারি খাস জায়গা দখল করে সেখানে বেশ কিছু ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান তুলেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার সোয়া ১২টা দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. দিলশাদ জাহানের নেতৃত্বে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো. উবায়দুর রহমান সাহেল পরিচালনা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন এতে আদমপুর মৌজার আদমপুর বাজারে প্রায় ২০টি টিনের তৈরি দোকান উচ্ছেদ করেন। উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো. উবায়দুর রহমান সাহেল জানান, সরকারি জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ করছে স্থানীয় কিছু অসাধু লোকজন এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এই আদালত পরিচালনা করা হয় এতে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ সরকারি খাস জায়গায় এবং অবৈধ ১৫ থেকে ২০ দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. দিলশাদ জাহান বলেন, যেসব সরকারি খাস জায়গায় অবৈধ দখল হয়েছে সেই সব জায়গা উদ্ধার এবং দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে