ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় প্রতীক বরাদ্দের আগেই আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণা চালানোর অভিযোগে মো. আল জাবেদ নামে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। আল জাবেদ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। তিনিসহ বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ছয়জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
জানা গেছে, বিজয়নগর উপজেলায় আওয়ামী লীগের একজন ও বিএনপির দুইজন নেতাসহ ছয়জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাদের মধ্যে তিনজন ডামি প্রার্থী। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেত্রী নাছিমা মুকাই আলী, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. রফিকুল ইসলাম, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আল জাবেদ। নির্বাচনে ডামি প্রার্থীরা হলেন- নাছিমা মুকাই আলীর দেবর মোশাহেদ হোসেন ও তার বক্তিগত সহকারী হারুনুর রশিদ এবং যুবদল নেতা আল জাবেদের ব্যক্তিগত সহকারী মুজিবুর রহমান।
কারণ দর্শানোর নোটিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকালে জনসভার আয়োজন করেন আল জাবের। তিনি এলাকায় মিছিল ও শোডাউন করেন। এর সুনির্দিষ্ট প্রমাণ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে রয়েছে। ইউএনও ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা একাধিকবার ফোন করলেও এবং বিজয়নগর থানা পুলিশ সশরীরে উপস্থিত হয়ে প্রচার কাজ বন্ধ করতে নির্দেশ দিলেও তাৎক্ষণিকভাবে প্রচারণা কাজ বন্ধ করেননি আল জাবের। এটি উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ৫ এর পরিপন্থি। আল জাবেরের বিরুদ্ধে নির্বাচন আচরণ বিধিমালা ২০১৬ এর-বিধি ৩৩ অনুযায়ী প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়ে কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা রোববার সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবদুলস্নাহ আল মামুন বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘণ করে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অভিযোগে তাকে দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।