ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও পুরুষ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনের আর মাত্র ০৯-১০ দিন বাকি।
সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ছয়জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী রয়েছেন। চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন- সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও খাতামধুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আজমল হোসেন (প্রতীক আনারস), উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তফা ফিরোজ (প্রতীক টেলিফোন), জাতীয় পার্টি (এ) সৈয়দপুর পৌর শাখার আহ্বায়ক ঠিকাদার জয়নাল আবেদীন (প্রতীক মোটর-সাইকেল), বিএনপি'র বহিষ্কৃত (সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপি'র সাবেক যুগ্ম সম্পাদক) রিয়াদ আরফান সরকার রানা (প্রতীক দোয়াত-কলম), উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান মহসিন আলী (প্রতীক হেলিকপ্টার) এবং জাতীয় ছাত্র সমাজের ঢাবির সাবেক সভাপতি ফয়সাল দিদার দীপু (প্রতীক ঘোড়া)।
পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন-কৃষক লীগ সৈয়দপুর পৌর শাখার সহ-সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম (প্রতীক টিউবওয়েল), আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নীলফামারী জেলা সভাপতি মহসিন মন্ডল মিঠু (প্রতীক চশমা) এবং ছাত্রলীগ উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি শেখ আব্দুলস্নাহ (প্রতীক তালা)।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হচ্ছেন মহিলা আওয়ামী লীগ উপজেলা শাখার সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. সানজিদা বেগম লাকী (প্রতীক পদ্মফুল), সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর সুমিত্রা রানী কনিকা (প্রতীক কলস) এবং নারী উদ্যোক্তা মোস্তাফিজা হোসেন শিলা (প্রতীক প্রজাপতি)।
বৃহস্পতিবার প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে পড়েন প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা। ইতোমধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রতীক ও ছবি সংবলিত পোস্টারে ছেয়ে গেছে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার ১৫টি ওয়ার্ডের প্রতিটি গ্রাম, পাড়া-মহলস্না। আর বিকাল থেকে রাত আটটা পর্যন্ত মাইকিং, ট্রাক-পিকআপ ও মোটর-সাইকেলে চলছে নানা ভঙ্গিমায় প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চেয়ে প্রচারণা। সেই সঙ্গে প্রার্থীরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ভোটারদের দ্বারে-দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। তবে ভোটারদের তেমন একটা আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। যারা কর্মী-সমর্থক তাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে ভোটের আমেজ। ভোটাররা বর্তমানে নির্বাচনের সার্বিক পরিবেশ-পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
এদিকে, সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে নির্বাচনী আচরণবিধির বিষয়ে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবারে উপজেলায় ভোট ভোটারের সংখ্যা দুই লাখ ১৭ হাজার ৯৯৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯ হাজার ৭৬১ জন এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ ৮ হাজার ২৩১ জন। এ ছাড়া হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৪ জন। এবার উপজেলার ৯১টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।