'যে স্কুলে বঙ্গবন্ধু লেখাপড়া করে বিশ্বনেতা হয়েছেন, এই স্কুল থেকে লেখাপড়া শিখে তোমরাও একদিন নেতা হবে'- বলে শিক্ষার্থীদের বলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী।
তিনি সোমবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া জিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে তিনি ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে এ কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রী স্কুলের প্রতিটি ক্লাসরুম ঘুরে দেখেন এবং উপস্থিত অভিভাবকদের সঙ্গে শিক্ষা নিয়ে মতবিনিময় করেন। এরপর মন্ত্রী দ্বিতীয় শ্রেণিকক্ষে প্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট বাচ্চাদের ক্লাস নেন।
এ সময় তিনি বলেন, 'তোমাদের মতো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (ছোট্ট খোকা) একদিন এই স্কুলে লেখাপড়া করতেন। তোমরাও একদিন নেতা হতে পারবে। মন দিয়ে লেখাপড়া কর।' এরপর মন্ত্রী পঞ্চম শ্রেণিতে কিছু সময় ক্লাস নেন। সেখানে তিনি বলেন, 'আমাদের প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে পরিকল্পনা আছে। বাংলাদেশের একটি শিশুও অশিক্ষিত থাকবে না। তারা যেন লেখাপড়া না করে শিশু শ্রমে জড়িয়ে না পড়ে, সেদিকে আমরা বিশেষভাবে কাজ করছি। শিশুরা যাতে লেখাপড়া থেকে ঝরে না পড়ে সেজন্য টিফিন উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। হাইস্কুল এমনকি কলেজেও ছাত্রছাত্রীদের উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।'
তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, 'এই স্কুলে জাতির পিতা লেখাপড়া করেছেন। এই স্কুলের প্রতি আমার বিশেষ নজর থাকবে। আমি এই স্কুলের উন্নয়ন করার বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছি। ভালো লেখাপড়ার মান উন্নয়নে কাজ করছি।'
এর আগে প্রতিমন্ত্রী ১১টার কিছু সময় পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একান্ত উপসচিব মুক্তার হোসেন, প্রতিমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব মো. মোখলেছুজ্জামান, তথ্য ও গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মইনুল হকসহ অন্য কর্মকর্তা।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ এবং বিশেষ দোয়া মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন প্রতিমন্ত্রী।