বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ইউনিয়ন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে নওগাঁর সাপাহারে বিএনপির দুই গ্রম্নপের মধ্যে সংঘর্ষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন কর্মী-সমর্থক আহত হয়ে সাপাহার হাসপাতালে চিকিৎসাধীনাবস্থায় রয়েছে।
দলের বিভিন্ন নেতাকর্মী ও স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে জানা গেছে, থানা কমিটি গঠনে জেলা কমিটির নির্দেশে সাপাহার উপজেলার গোয়ালা ও শিরন্টি ইউনিয়নে ইউনিয়ন কমিটি গঠনের জন্য শুক্রবার সকাল ১০টায় সাপাহার থানা বিএনপির কার্যালয়ে রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বেনু ও মোকলেসুর রহমান মুকুল দু'গ্রম্নপের নেতাকর্মীদের নিয়ে এক বৈঠক বসে। বৈঠকে দু'টি ইউনিয়ন কমিটি ইলেকশন না সিলেকশনে গঠিত হবে এ নিয়ে দু'গ্রম্নপের মধ্যে মতের অমিল হয়।
নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয় ত্যাগ করেন। রাস্তায় দু'গ্রম্নপের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জিরো পয়েন্ট এলাকায় সংঘর্ষ বাধে। উভয় গ্রম্নপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় উভয়ের লাঠির আঘাতে দু'পক্ষের শায়েদ, মোস্তাফিজুর রহমান বাদল, মাসুদ, মনসুরসহ কমপক্ষে ২৫-৩০ জন নেতাকর্মী গুরুত্বর আহত হন।
রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বেনু জানান, মুকুল গ্রম্নপের লোকজন পরিকল্পিতভাবে বৈঠক পন্ড করে এবং তারা আগে মারামারি শুরু করে। এতে তার পক্ষের প্রায় ১০-১৫ জন কর্মীসমর্থক আহত হয়েছে। অন্যদিকে গ্রম্নপ লিডার মোকলেসুর রহমান মুকুলও একইভাবে প্রতিপক্ষকে দোষারোপ করেন। তিনি বলেন, বেনু গ্রম্নপের লোকজনের লাঠির আঘাতে তার গ্রম্নপের অন্তত ১৫-২০ জন নেতাকর্মী-সমর্থক গুরুতর আহত হয়েছে।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এলাকায় অবস্থান নেয় ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।