ঢাকার দোহার উপজেলার শিলাকোঠা এলাকার প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় গত এক মাসের অতিবৃষ্টিতে পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। রাস্তার দুই পাশে কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। আর এই জলাবদ্ধতার জন্য প্রায় এক মাস ধরে এলাকাবাসীর জনদুর্ভোগ এখন চরমে।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লতিফ ফকির বাড়ি থেকে ইউসুব মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত, পূর্ব শিলাকোঠা নূরীয়া আশরাফিয়া এতিমখানা ও মাদ্রাসা থেকে শাহজালাল মোলস্নার বাড়ি পর্যন্ত এবং শেখ ভাসানী মাদবরের বাড়ি থেকে শেখ মাইনদ্দিনের বাড়ি পর্যন্ত ও সিরাজের দোকান থেকে লৎফর রহমানের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটি বৃষ্টির পানিতে গত এক মাস যাবৎ পানিতে ডুবে রয়েছে। এই এলাকায় প্রায় ৫-৬ হাজার লোকের বসবাস। আর তাদের চলাচলের প্রধান রাস্তাই হচ্ছে এটি। প্রতিদিনই এই রাস্তা দিয়ে স্কুল, কলেজ, মসজিদ ও মাদ্রাসায় যেতে হয় এলাকার লোকজনের। রাস্তাটি পানিতে ডুবে যাওয়ায় স্কুল ও মাদ্রাসায় যেতে ছোট ছোট ছাত্রছাত্রীরা পড়েছেন চরম বিপাকে।
এলাকাবাসী বলেন, গেল প্রায় এক মাসের অতিবৃষ্টিতে তাদের এই রাস্তাসহ আশপাশের সব জায়গাতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের জন্য নেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা। দীর্ঘদিন ধরে এই জলাবদ্ধতার জন্য এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ছেলেমেয়েরা স্কুল ও মাদ্রাসায় যেতে পারছে না। নামাজ আদায় করতে মসজিতে যেতে অনেক দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। রাস্তার এই জলাবদ্ধতা নিষ্কাশনের জন্য কেউ এগিয়ে আসেননি। তারা দ্রম্নত প্রশাসনের পানি নিষ্কাশনের জন্য সাহায্য কামনা করেছেন।
শিলাকোঠা এলাকার শাহজাহান মুন্সী বলেন, 'জলাবদ্ধতার কারণে আমরা অনেক কষ্টে আছি। বাড়ি থেকে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে বের হওয়া কঠিন হয়ে গেছে। এই রাস্তাটি যদি দিনের পর দিন এভাবেই পানির নিচে ডুবে থাকে তাহলে যে কোনো সময় হতে পারে বড় কোনো দুর্ঘটনা।' শিলাকোঠা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী দিপ মোলস্না জানায়, গত এক মাসে প্রচুর বৃষ্টির কারণে তাদের এই রাস্তাটি পানিতে ডুবে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। ফলে বাড়ি থেকে বেড় হতে পারছে না। স্কুলে যেতে সমস্যা হচ্ছে।
এলাকাবাসীর দাবি, দ্রম্নত এই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থার মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে জনদুর্ভোগ লাগবে এগিয়ে আসবে প্রশাসন।