মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

'রামগড় স্থলবন্দর চালু হলে বাংলাদেশ ভারতের সম্পর্ক শক্তিশালী হবে'

রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
  ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
'রামগড় স্থলবন্দর চালু হলে বাংলাদেশ ভারতের সম্পর্ক শক্তিশালী হবে'
খাগড়াছড়িতে রামগড় স্থলবন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রমের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান -যাযাদি

'খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর চালু হলে খাগড়াছড়ি রাঙামাটি ও বান্দরবান তিন পার্বত্য অঞ্চলসহ কক্সবাজার, নোয়াখালী, ফেনী অঞ্চলের মানুষের সহজ যাতায়াত ব্যবস্থা, আন্তঃদেশীয় ও বাংলাদেশ ভারত দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্তিশালী হবে। এ বিষয়গুলো জোরদার করার লক্ষ্যে এটি স্থাপন করা হয়েছে।'

শুক্রবার রামগড় স্থলবন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রমের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, 'আমি কাজের অগ্রগতি দেখতে এসেছি। কখন উদ্বোধন হবে তা এখনো জানি না। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আছেন। যখন তারা সময় দেবেন তখনই উদ্বোধন হবে। এ বন্দর সম্ভাবনাময়। এখানকার মানুষ যারা ভারতে যেতে চান তারা এ বন্দরের মাধ্যমে খুব দ্রম্নত যেতে পারবেন। বর্তমানে অনেক দূরবর্তী বন্দর ব্যবহার করে যেতে হচ্ছে তাদের। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর থেকে যে মালামাল যায় সেটা সহজ হবে।'

কাজের গুণগতমান ও অগ্রগতিসহ সার্বিক কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, 'রামগড় ও সিলেটের শেওলা স্থলবন্দর দু'টি একই মডেলের নির্মিত হচ্ছে। দেশের অনেক পোর্ট ঘুরে দেখেছি সেগুলোর চাইতে এ বন্দরের কনস্ট্রাকশন ডিজাইন ও পস্ন্যানিং খুবই সুন্দর এবং চমৎকার।'

এ সময় তার সফরসঙ্গী ছিলেন প্রকল্প পরিচালক সরোয়ার আলম। এর আগে দুপুর বারোটায় তিনি রামগড় স্থলবন্দর এসে পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতা আফরিন। পরে স্থলবন্দর চেয়ারম্যান হেঁটে স্থলবন্দরের নির্মিত ও নির্মাণাধীন অবকাঠামো এবং মৈত্রী সেতুর বাংলাদেশের অংশ পরিদর্শন করেন। এ সময় চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব আনিসুর রহমান, রামগড় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দিন, থানার ওসি মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন, বিজিবির প্রতিনিধি ও স্থলবন্দরের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে