গত তিন মাস আগে সারাদেশে স্বাস্থ্য বিভাগের মধ্যে ভালো কার্যকলাপের জন্য চতুর্থ স্থান অধিকার করেছিল কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স। সে সময় এ স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ডাক্তারের কোনো সংকট ছিল না। বর্তমানে তিন মাস পার হওয়ার পর আটজন ডাক্তারের স্থলে রয়েছেন মাত্র দুইজন। এই দুইজন ডাক্তার দিয়ে হাসপাতালটি কোনো রকম চলছে। ছয়জন ডাক্তারের পদ শূন্য রয়েছে।
প্রতিদিন এ হাসপাতালে হাজারো রোগী আসেন। কিন্তু ডাক্তার সংকটের কারণে রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
সরেজমিন গেলে নার্সরা জানান, বর্তমানে ৫০ বেডের হাসপাতালে রোগী হয় গড়ে ৭০ থেকে ৮০ জন। বেড না পেয়ে রোগীদের মেঝে ও বারান্দায় চিকিৎসা নিতে হয়। বর্তমানে প্রায় প্রতিদিনই ৬ থেকে ৭ জন ডায়রিয়ায় রোগী ভর্তি হচ্ছেন। ডাক্তার সংকট থাকলেও ওষুধ ও রোগীদের খাবারের কোনো সংকট নেই বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
বাজিতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নাজমুস ছালেহীন জানান, ডাক্তার সংকটের কারণে রোগীরা যেমন সেবা পাচ্ছে না, তেমনি রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে অল্প সংখ্যক ডাক্তার হিমশিম খাচ্ছেন। ডাক্তার সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। শিগগিরই এ সংকট দূর করা হবে।