রোববার, ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২

শেরপুরের গারো পাহাড়ে জীববৈচিত্র্য বিলুপ্ত

ঝিনাইগাতী (শেরপুর) প্রতিনিধি
  ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
শেরপুরের গারো পাহাড়ে জীববৈচিত্র্য বিলুপ্ত

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড়ে জীববৈচিত্র্য বিলুপ্তি হয়েছে। ময়মনসিংহ বন বিভাগের আওতায় গারো পাহাড়ে দুই যুগ আগেও বন্যপ্রাণীর কিচিমিচির কোলাহলে পাহাড়ে ছিল নানা প্রজাতির জীববৈচিত্র্য। কালের পরিবর্তনে মানুষের কোলাহলে বর্তমানে গারো পাহাড়ে জীববৈচিত্র্য বিলুপ্তি হয়েছে।

শেরপুর জেলার ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা গারো পাহাড়ে এখন বন্যহাতি ব্যতীত সব জীববৈচিত্র্য বিলুপ্তি হয়ে গেছে। দুই যুগ আগেও বাঘ, ভালস্নুক, সিংহ, হরিণ, বনমোরগ, শিয়াল, বন কুকুর, বানর, সাপসহ নানা প্রজাতির বন্যপ্রাণীর ভয়ে গারো পাহাড়ে প্রবেশ করা দুষ্কর হয়ে ছিল। বর্তমানে গারো পাহাড়ে ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে আসা আটকে পড়া বন্যহাতির পাল ছাড়া অন্য কোনো প্রজাতির বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য দেখা মিলছে না।

সাংবাদিক মোরাদ হাসানসহ এলাকাবাসী জানান, ঐতিহ্যবাহী শেরপুরের গারো পাহাড়ে দিন দিন বন্যপ্রাণী বিলুপ্তি হয়েছে। মানুষের কোলাহল ও বনে অবাধে মানুষ যাতায়াতের ফলে বন্যপ্রাণী হারিয়ে গেছে। বিভিন্ন প্রজাতির জীববৈচিত্র্য পাহাড়ে অবমুক্ত করে বনের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন বন কর্তৃপক্ষকে।

এ ব্যাপারে রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল করিম জানান, দুই যুগ আগেও বনে অনেক বন্যপ্রাণীর দেখা মিলেছে। এখন মানুষের আবাসস্থল গড়ে ওঠার ফলে জীববৈচিত্র্য ও বন্যপ্রাণীর দেখা পাওয়া যায় না। বন বিভাগ থেকে বন্যপ্রাণীকে বাঁচানোর জন্য সচেতনতামূলক সেমিনার ও পাহাড়িদের সঙ্গে আলোচনা, প্রাণী অবমুক্ত করার কাজ চলছে। বন্যহাতি ও অন্য প্রাণীকে না মারার জন্য আমরা কাজ করছি।

গারো পাহাড়ে জীববৈচিত্র্য অবমুক্ত করে পাহাড়কে আগের মতো পরিবেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে কর্তৃপক্ষ এমন প্রত্যাশা করেছেন শেরপুরবাসী।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে