টঙ্গীতে তুরাগ নদের তীরে শুক্রবার ফজরের পর থেকে টঙ্গীতে তুরাগ নদের তীরে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা। আগামী মঙ্গলবার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে ইজতেমা।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হক্কানে ওলামায়ে কেরামগণ জোড় ইজতেমায় অংশ নিতে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেন। জোড় ইজতেমার প্রথম পর্বে অংশগ্রহণ করেছেন মাওলানা জোবায়ের পন্থিরা। এরপর ২০ থেকে ২৪ ডিসেম্বর দ্বিতীয় পর্বে অংশগ্রহণ করবেন মাওলানা সাদপন্থিরা।
ইজতেমা ময়দানে অবস্থানরত মুরুব্বিরা জানান, প্রতিবছরেই ইজতেমার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে এই জোড় হয়ে থাকে। এখানে তাবলীগের সাথীরা পুরো বছরের কাজের কারগুজারী ও বড়দের রাহবারী নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ পান।
যার জন্য পুরো বছর অপেক্ষায় থাকেন। এই জোড়কে কেন্দ্র করে দেশ ও দেশের বাহিরের শুরায়ী নেজামের মুরুব্বিরা একত্রিত হয়েছেন। ৫ দিনের জোড় দাওয়াতের কাজের চেতনার স্পন্দন। দাওয়াতের কাজের এক গভীর পদরেখা এখান থেকে অঙ্কিত হয়। যে নকশার উপর কাজ ও কাজের সাথীদের পথ চলতে হয়।
বার্ষিক এই একটি আয়োজন কাজের পথকে সঠিক ও মসৃণ রাখতে মূল চালিকাশক্তির কাজ করে। এই জোড় থেকে আগামী এক বছর কাজের ব্যাপারে সঠিক রাহবারী পাওয়া যায়। পুরো বছরের কাজের আজাইম বা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ী নেজাম (মিডিয়া সমন্বয়ক) হাবিবুলস্নাহ রায়হান জানান, শুক্রবার বাদ ফজর বয়ান করেন পাকিস্তানের ভাই নাঈম শাহ সাহেব, জুমা'র আগে কারগুজারীর আমল হয়। এ সময় কথা বলেন ফারুক সাব (ব্যাঙ্গালোর)।
তিনি আরও জানান, বাদ জুমা বয়ান করেন মাওলানা রবিউল হক সাহেব, বাদ আছর বয়ান করবেন মাওলানা ওমর ফারুক সাহেব, বাদ মাগরিবের পর কারগুজারী আমল হবে।