বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
লোহালিয়া নদীতে বগা সেতু নির্মাণ

পরিকল্পনা আর ফাইলেই বন্দি 'স্বপ্নের উন্নয়ন'

আব্দুস সালাম আরিফ, পটুয়াখালী
  ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
পরিকল্পনা আর ফাইলেই বন্দি 'স্বপ্নের উন্নয়ন'
পটুয়াখালীর লোহালিয়া নদীতে ফেরী পারাপারের ঘাট -যাযাদি

পটুয়াখালীর জেলার বাউফল, দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলার যাতাযাতের প্রধান সড়কে দীর্ঘদিনেও ফেরির স্থলে সেতু নির্মাণ কাজ হয়নি। ফলে তিন উপজেলার কয়েক লাখ মানুষকে ভোগান্তি নিয়েই জেলা শহরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করতে হচ্ছে। বিগত সরকারের সময় একাধিকবার লোহালিয়া নদীর বগা নামক স্থানে ফেরির স্থলে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। তবে সরকার পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে এ সেতুটি দ্রম্নত নির্মাণ করার দাবি স্থানীয়দের।

শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ অর্থনৈতিক সূচকে পটুয়াখালী জেলার সমৃদ্ধ এক জনপথ বাউফল উপজেলা। একটি উপজেলা নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসন পটুয়াখালী-২। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় এবং গত তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগের এমপি থাকলেও এ উপজেলাবাসীর প্রধান দাবি বগা সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়নি। ঢাকা-পটুয়াখালী মহাসড়কের পায়রা সেতু থেকে দুমকি-বাউফল-দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলা পর্যন্ত মোট ৮৬ কিলোমিটার সড়কের ১১ কিলোমিটারে লোহালিয়া নদীর উপর বগা ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার হয়। বাউফল উপজেলার উপর দিয়ে দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলায় যাতায়াতে এ সড়কটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর ফলে ফেরি ঘাটেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহনকে অপেক্ষা করতে হয়। এতে করে যেমন সময় নষ্ট হচ্ছে তেমনি স্থানীয়দের ব্যবসা বাণিজ্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

1

পটুয়াখালী-বগা-বাউফল সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী ট্রাক চালক ইব্রাহিম খলিল বলেন, 'ফেরি ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়। এর থেকে বড় বড় নদীতেও ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু এ বগায় এখনও ফেড়ি পাড় হতে হয়। এতে করে আমাদের সময় যেমন নষ্ট হয়, তেমনি ভাড়াও বেশি দিতে হচ্ছে। সঠিক সময় পণ্য সরবরাহ করতে পারি না।'

এ বিষয় জানতে চাইলে পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জামিল আক্তার লিমন বলেন, পটুয়াখালীর লেবুখালী পায়রা সেতু থেকে দুমকি-বগা-বাউফল-দশমিনা-গলাচিপা-হয়ে আমড়াগাছিয়া পর্যন্ত মোট ৮৬ কিলোমিটার সড়ক। এ সড়কের ১১ কিলোমিটারে বগা স্থানে একটি সেতু নির্মাণের জন্য ২০২১ সালের মার্চ মাসে চীনের সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ইতিমধ্যে ব্রিজের ফিজিবিলিটি স্টার্ডি সম্পন্ন হয়েছে। এখন জমি অধিগ্রহণ এবং অধিগ্রহণে কি পরিমাণ অর্থ খরচ হবে সে বিষয়ে প্রাক্কলন তৈরি করা হচ্ছে। এটি শেষ হলে দ্রম্নত ডিপিপি প্রনয়ন করে কাজ সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করতে পারবেন।

পটুয়াখালীর বগা ফেরির স্থলে সেতু নির্মিত হলে জাতীয় মহাসড়কের সঙ্গে এই তিন উপজেলার নিরবিচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে। যার ফলে স্থানীয় অর্থনীতি ও মানুষের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে বলে মনে করেন জেলাবাসী।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে