বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

চার শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
চার শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির (বিআরসি) আয়োজনে চার পর্যায়ের দূরত্বে এ হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়।

আয়োজক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চার পর্যায়ের দূরত্বে এই হাফ ম্যারাথন দৌঁড় হয়। এর মধ্যে ছিলো ২ কিলোমিটার, ৫ কিলোমিটার, ১০ কিলোমিটার ও ২১ কিলোমিটার। সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ২১ কিলোমিটারে অংশগ্রহণকারী দলটি স্থানীয় নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয়। পর্যায়ক্রমে রওনা দেয় ৫ এবং ১০ কিলোমিটারের দলটি এবং সর্বশেষ শিশুদের ২ কিলোমিটারের দলটি সোয়া সাতটায় রওনা দেয়। ২১ কিলোমিটারে অংশ নিয়েছেন ১২০ জন। ১০ কিলোমিটারে ২০০ জন, ৫ কিলোমিটারে ৬০ জন ও ২ কিলোমিটারে ২০শিশু। এর মধ্যে ৩৫০ জন পুরুষ, ৩০জন নারী, ২০ জন শিশু এবং পাঞ্চাশোর্ধ ৩৬জন।

1

দৌড় শেষে শেখ হাসিনা সড়কের (সীমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া) শিমরাইলকান্দি সেতুর দক্ষিণপাশের একটি জমিতে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা এডমিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয প্রধান অধ্যাপক দিলারা আক্তার খান।

অংশগ্রহণকারী সবার জন্য একটি করে শুভেচ্ছা স্মারক, সনদ, টি-শার্ট, সকালের নাশতার পাশাপাশি প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারকারীদের চ্যাম্পিয়ান ও রানার্সআপ ট্রফি দেওয়া হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ফারজানা তাসমিন তার মেয়ে পারিসা জুনাইরা চৌধুরীকে নিয়ে এই দৌঁড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। তিনি বলেন, 'মেয়েকে নিয়ে এসেছি। ভালো লাগছে। কারণ বর্তমান শিশুরা মুঠোফোনে আসক্ত। দৌঁড় শরীরের জন্য উপকারী। মুঠোফোনের আসক্তি দূরে রাখতে এই দৌড় সহায়তা করবে।'

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার উত্তর লক্ষীপুর গ্রামের বাসিন্দা জুয়েফা আক্তার জেসি। পেশায় শিক্ষক। গাজীপুর শাহিন ক্যাডেট একাডেমির ভৈরব শাখার শিক্ষক তিনি। সাথে বাবা মো. আলাউদ্দিন ও বড় তৌহিদুল ইসলামকে নিয়ে এই দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।

রানার্স কমিউনিটি সূত্রে জানা গেছে, খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের প্রভাষক রাজন মিয়া ২০২১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর আখাউড়া শহীদ স্মৃতি কলেজের প্রভাষক অলি আহাদকে নিয়ে 'শরীর সুস্থ রাখতে' সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। এর আগে তারা বিষয়টি নিয়ে অধ্যাপক দিলারা আক্তারের খানের সঙ্গে পরামর্শ করেন। তিনি প্রতিষ্ঠাকাল থেকে সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে