শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সিরাজগঞ্জে জোড়া খুনের মামলায় ৪ জনের মৃতু্যদন্ড এবং ৮ জনের যাবজ্জীবন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
  ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
সিরাজগঞ্জে জোড়া খুনের মামলায় ৪ জনের মৃতু্যদন্ড এবং ৮ জনের যাবজ্জীবন

সিরাজগঞ্জে জোড়া খুনের মামলায় চারজনকে মৃতু্যদন্ড এবং আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা তৃতীয় আদালতের বিচারক মাহবুবুর রহমান এ রায় প্রদান করেন। এছাড়া মৃত্যদন্ডপ্রাপ্ত ৪ আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আটজনকে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।

ওই আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট হামিদুল ইসলাম দুলাল এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। মৃতু্যদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, উলস্নাপাড়া উপজেলার চক পাঙ্গাসী গ্রামের হাসানুর হাসু (৪৫), একই গ্রামের কাওছার আলী, মোয়াজ্জেম হোসেন রিন্টু ও জাহিদুল ইসলাম জালিম। যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, একই গ্রামের আশরাফ (৫০), মোতালেব (৪০), রেজাউল (৩২), দুলাল (৩৫), মনিরুল (৩০), সাদ্দাম (২৮), বেলস্নাল (৫০) ও আওয়াল (৩০)।

1

মামলার অভিযোগপত্রে উলেস্নখ করা হয়, উলস্নাপাড়া উপজেলার চকপাঙ্গাসী গ্রামের সাইফুল ইসলামের সঙ্গে প্রতিবেশী আবুল কালামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ২০১৭ সালের ২১ জানুয়ারি সকালে সাইফুল ইসলাম তার ভাই সোনা মিয়া, আবুল কালাম, মকবুল হোসেনসহ অন্যরা বাড়িতে বসে ছিলেন। এ সময় আসামি হাসানুর রহমান হাসুর নেতৃত্বে অন্য আসামিরা লাঠিসোটা, দেশীয় অস্ত্রসহ লোকজন নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা মকবুল হোসেন, আবুল কালাম, সাইফুল ইসলাম ও সোনা মিয়াকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এ ছাড়া তাদের বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। পরে আহতদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে মকবুল হোসেন, সোনা মিয়া ও সাইফুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হলে তাদের প্রথমে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ঢাকার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মকবুল হোসেন ও সাইফুল ইসলামের মৃতু্য হয়।এ ঘটনায় উলস্নাপাড়া উপজেলার চকপাঙ্গাসী গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৫১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১৯ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। মামলা চলাকালে ২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রোববার এ মামলায় রায় ঘোষণা করলেন আদালত।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে