নওগাঁর মহাদেবপুরে পূর্ব শত্রম্নতার জের ধরে একটি বাগানের প্রায় তিনশ' ফলন্ত মাল্টা গাছ কেটে বিনষ্ট করা হয়েছে। ফলে মাথায় হাত পড়েছে হতাশ চাষি কাওসার আহমেদের। বাগানের কাটা গাছের কান্ড হাতে নিয়ে হাউ মাউ করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি। তার বিধবা মা বাগানে এসে আহাজারী করেন।
গত শনিবার সকালে উপজেলার খাজুর ইউনিয়নের বনগ্রাম দক্ষিণ-পশ্চিম পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওইগ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে কাওসার আহমেদ জানান, তিনি তার নিজের এবং তার চাচা মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে আব্দুল মোত্তালেব হোসেনের কাছ থেকে চার বছর আগে প্রায় এক বিঘা জমি দুই লাখ ২০ হাজার টাকায় ১৫ বছরের জন্য কন্টাক্ট নেন। প্রতিবছর ২০ হাজার টাকা করে তিনি কেটে নেন। ওই জমিতে তিনি প্রায় তিনশ' মাল্টা গাছের চারা লাগান। চারাগুলো বড় হয়ে ফল ধরা শুরু হয়েছে। গতবছর এখান থেকে তিনি দেড় লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি করেন। মাল্টা বিক্রি করে এত লাভ দেখে তার চাচা আব্দুল মোত্তালেব হোসেন এখনই জমিটি খুলে নিতে চান। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে তার চাচা ও তার লোকেরা বাগানের সব মাল্টা গাছ গোড়া থেকে কেটে বিনষ্ট করে। মাল্টা গাছের ভীতর লাগানো ছিল বস্তায় চাষ করা আদার অসংখ্য গাছ। সেগুলোও তারা কেটে বিনষ্ট করে। মাল্টা গাছগুলো থেকে আরো কয়েক বছর ফল পাওয়া যেতো। এতে তার কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
জানতে চাইলে আব্দুল মোত্তালেব হোসেন গাছগুলো কাটার কথা স্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান, চুক্তি অনুযায়ী কাওসার টাকা না দেওয়ায় গাছগুলো কাটা হয়েছে। এখন ওই জমি তিনি দখলে নেবেন।