১৯২৩ সালে গাইবান্ধা পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত। গাইবান্ধা জেলায় ৪টি পৌরসভা রয়েছে। গুরুত্বের দিক থেকে গাইবান্ধা পৌরসভা অন্যতম। ১০.৫৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের গাইবান্ধা পৌর শহর। জেলার সব লোকের প্রাণ কেন্দ্র বলা চলে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জেলা সদর হাসপাতাল, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ, পিটিআই, এ.টি.আই, সরকারি বালক ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গণপূর্ত, এলজিইডি, জনস্বাস্থ্য, সরকারি গণগ্রন্থাগার, সরকারি শিশু পরিবার বালক ও বালিকা, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কার্যালয়, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি), প্রসূতির ভরসাস্থল মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে।
গুরুত্ব বিবেচনায় পৌরসভাটি এ গ্রেডের পৌরসভায় উন্নীত হলেও বাস্তবতা ভিন্ন! ৯নং ওয়ার্ডের শাহীন পার্কটি সন্ধ্যায় রঙিন আলোয় আলোকিত ছিল, নির্মাণ শৈলীগুলো ভেঙে গেছে। শিশু পার্ক (ব্রিজ রোড) দর্শণার্থীর আসার পরিবেশ গড়ে ওঠেনি সেখানে। ঘাঘট পাড়ের ও পৌর গোরস্থানের চার দেয়ালের রঙিন বাতিগুলো আর জ্বলে ওঠে না। একটি ভূতরে পরিবেশ সেখানে বিরাজ করছে। শাহ আব্দুল হামিদ সরণীর যাত্রী ছাউনির পানির ট্যাপগুলোতে পানি সরবরাহ বন্ধ। সেখানে মুসলস্নী ওযু করতো, রিকশা শ্রমিকরা পানি ব্যবহার করতেন। এ বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের কোন উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। গাইবান্ধা পৌরপার্কে আন্ডার গ্রাউন্ড সাউন্ড বক্সে আর গান বাজে না। রাস্তাঘাটগুলো খানাখন্দে ভরপুর। জন্ম নিবন্ধন ও ডেড সার্টিফিকেট নিতে পৌরবাসীকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। রাত হলে মার্কেটের রাস্তাগুলোতে ময়লা-আবর্জনা ও পলিথিন পড়ে থাকতে লক্ষ্য করা গেছে। পাড়া-মহলস্নার রাস্তায় ময়লা-আবর্জনা পঁচে দুগন্ধ বের হয়। রাস্তাগুলোতে রোড লাইটের সংযোগ কমে গেছে। পৌরবাসীর বেশীর ভাগ নাগরিকই পৌরসভার পানি সরবরাহ সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
এ বিষয়ে ৪নং ওয়ার্ড বাসিন্দা আরিফ আলাল বলেন, 'আমরা প্রতু্যষে নগরীর রাস্তাঘাটগুলো পরিস্কার লক্ষ্য করেছি। আলোকিত শহর হিসেবে গাইবান্ধা পৌরসভা পরিচিতি লাভ করেছিল। বর্তমানে এর ব্যত্যয় ঘটেছে। আমি পিছিয়ে পড়া এই পৌরসভার প্রতি উদার দৃষ্টি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানাই।'
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারি সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ পৌর প্রশাসকের ব্যর্থতাকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, পৌর প্রশাসক ইচ্ছে করলে ছোট ছোট সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারতেন।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা পৌর প্রশাসক মো. শরিফুল ইসলাম জানান, 'সমস্যাগুলো আমার জানা ছিল না। আমি স্বল্প সময়ের জন্য দায়িত্ব পেয়েছি। আবারও বদলী হয়ে যাচ্ছি। আশাকরি পরবর্তীতে যিনি আসবেন তিনি সমস্যাগুলো সমাধান করবেন।'