মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

নয়া মিয়াকে আজও ভোলেনি মানিকগঞ্জবাসী

মোবারক হোসেন, সিংগাইর (মানিকগঞ্জ)
  ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
নয়া মিয়াকে আজও ভোলেনি মানিকগঞ্জবাসী

প্রয়াত সাবেক শিল্পমন্ত্রী শামসুল ইসলাম খাঁন নয়া মিয়া থাকবেন মানিকগঞ্জবাসীর হৃদয়ে অনন্তকাল ধরে। সিঙ্গাইর তথা দক্ষিন মানিকগঞ্জের উন্নয়নে যে মানুষটি আজীবন নিরালসভাবে কাজ করে গেছেন তার নাম শামসুল ইসলাম খাঁন নয়া মিয়া। সৎ মনোভাবপূর্ণ একজন আদর্শিক রাজনীতিবিদ হিসেবে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের কাছে বেশ সুনাম ছিল তার। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিভাবান এই রাজনৈতিক নেতা জীবদ্দশায় নিজ এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে রেখে গেছেন অনন্য ভূমিকা। দক্ষিন মানিকগঞ্জের এমন কোনো এলাকা নাই যেখানে শামসুল ইসলাম খাঁন নয়া মিয়ার উন্নয়নের ছোঁয়া নেই।

তিনি কখনো দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেননি। সত্য ও ন্যায়ের প্রতি সব সময় ছিলেন অবিচল। আজ ২২ জানুয়ারি এই কীর্তিমান মহান মানুষটির ১৯ তম মৃতু্যবাষির্কী। ২০০৬ সালের এই দিনে না ফেরার দেশে পারি জমান বর্ষিয়ান এই রাজনীতিবিদ। এই ক্ষনজন্মা মানুষটি ১৯৩০ সালের ১ জানুয়ারি মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার চারিগ্রাম গ্রামের এক সম্‌ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেছিলেন।

শামসুল ইসলাম খাঁন নয়া মিয়া প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি ১৯৯১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত একটানা ৪ বার জাতীয় সংসদের এমপি হন। ছিলেন শিল্পমন্ত্রীও। এছাড়া দেশের ক্রীড়াঙ্গনে রেখেগেছেন অসামান্য অবদান। তিনি আবহানী স্পটিং ক্লাবের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। আওয়ামী মুসলীমলীগের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খাঁন ভাসানী ও বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা জিয়াউর রহমানের পরিবারসহ জাতীয়তাবাদী আদর্শের রাজনৈতিক নেতাদের সাথে ছিল তার গভীর সম্পর্ক। তিনি ছিলেন দেশের দুর্দিনের কান্ডারি। ভূমিকাও রেখেছেন দেশের সংকটময় মূহুর্তে। সর্বজন শ্রদ্ধেয় এই প্রয়াত নেতাকে এখনও ভুলেনি মানুষ। প্রতি বছরই দলীয় ও পারিবারিক ভাবে পালন করা হয় তাঁর মৃতু্যবার্ষিকী।

মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দেশবাসীর নিকট দোয়া চেয়েছেন তাঁর সুযোগ্য সন্তান মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মাঈনুল ইসলাম খাঁন শান্ত।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে