ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে চোর সনেদহে এক যুবককে গাছে ঝুলিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে, হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে বস্তাবন্ধি মস্তকবিহীন গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো বিস্তারিত খবর-
ঠাকুরগাঁও ও হরিপুর প্রতিনিধি জানান, ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে রুবেল নামে এক যুবককে মোটর সাইকেল চুরির সন্দেহে গাছে ঝুলিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। ঘটনাটি ঘটে হরিপুর উপজেলার আমগাও ইউনিয়নের যাদুরানী বাজারে বুধবার আনুমানিক সকাল পৌনে দশটার দিকে। নিহত রুবেল ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার গোগর পাটুয়াপাড়া গ্রামের খলিলের ছেলে।
জানা যায়, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রুবেল যাদুরানী বাজারে মালেক নামে এক মুদি দোকানদারের ডিসকভার মোটর সাইকেলের তালা ভেঙে পালানোর সময় জনতার হাতে আটক হন। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা রুবলকে গাছে ঝুলিয়ে বেধরক মারপিট করে। এক পর্যায় রুবেল মৃতু্যর কোলে ঢোলে পরে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় রুবেলের লাশ উদ্ধার করে।
হরিপুর থানার ওসি জাকারিয়া মন্ডল বলেন, রুবেল নামে এক মোটর সাইকেল চোর গনপিটুনিতে ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মিঠুন সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আজমিরীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, কুশিয়ারা শাখা নদী থেকে মাথা বিহীন বস্তাবন্দি একটি মরদেহ স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে মরদেহের মাথা না থাকা ও শরীরের অংশ বেশি পচেঁগলে যাওয়ায় লাশের পরিচয় সনাক্ত করা যায়নি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ছয়টায় আজমিরীগঞ্জে সদর ইউনিয়নের ইউনিয়নের উদ্ভবপুর গ্রাম সংলগ্ন কুশিয়ারা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে মরদেহটি বেশ পুরোনো।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় কিছু লোক নদীরপাড় সংলগ্ন বস্তাবন্দি মরদেহটি দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের অবগত করেন। এরপর স্থানীয়রা থানায় অবগত করলে আজমিরীগঞ্জ থানার ওসিসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মরদেহটি উদ্ধার করে।
আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি এবিএম মাঈদুল হাছান বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি অবগত হয়ে আমরা ঘঠনাস্থলে পৌঁছে মাথা বিহীন মরদেহটি উদ্ধার করি। মরদেহের হাতে একটি বিশেষ ধরনের মালা রয়েছে। তবে মরদেহটি নারী নাকি পুরুষ সেটি এখনো বলা যাচ্ছে না। ডিএনএ টেষ্টের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করে পরবর্তী আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।