সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

রমেক হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে তিন অটো মেশিন বিকল

আবেদুল হাফিজ, রংপুর
  ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
রমেক হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে তিন অটো মেশিন বিকল

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে আগে হতো আটো মেশিনে বিভিন্ন রোগের নমূনা পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এতে করে সরকারি হাসপাতালের সাধারণ রোগীরা স্বল্প খরচে রোগগুলোর করতে পেতো পরীক্ষা-নিরীক্ষা। দীর্ঘদিন ধরে অটো মিশিনগুলো বিকল হওয়ার কারণে সেখানে এখন তার উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। বিপাকে পড়ে অতিরিক্ত খরচ করে তাদের বাইরের বেসরকারি প্যাথলজিগুলোতে বিভিন্ন রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হচ্ছে।

রমেক হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সেখানে বর্তমানে বস্নাড সুগার, অথবা জিটিটি, কিডনী ফাংশন, লিভার ফাংশন, লিপেড প্রোফাইল, ইলেক্ট্রোলাইট লেভেলসহ বিভিন্ন রোগের নমূনা পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। দ্রম্নতগতিতে এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর চিকিৎসকরা প্রকৃত রোগের ফলাফল নির্ণয় করতে হাসাপাতালে আনা হয় অত্যাধুনিক বায়ো কেমিস্ট্রি অ্যানালাইজার, অটো হেমাটোলজি অ্যানালাইজার ও অটোমেডেট সেল কাউন্টার মেশিন। এসব মেশিনে ঘন্টায় ১২০ থেকে ১৫০টি রিপোর্ট দিতে সক্ষম। দীর্ঘ তিন বছর আগে এসব মেশিন বিকল হওয়ায় সেখানে ১টি সেমি অটোমেটিক বায়ো কেমিস্ট অ্যানালাইজার দিয়ে বিভিন্ন রোগের নমূনা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হচ্ছে। ফলে ১২ ঘন্টায় এখন একটি মেশিন দিয়ে রিপোর্ট দেওয়া যাচ্ছে সর্বোচ্চ আড়াইশ'।

জানা গেছে, রমেক হাসপাতালে ক্লিনিক্যাল প্যাথলজি বিভাগের কাউন্টার খোলা থাকে সকাল ৮ টা থেকে ১১টা পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে রোগীর স্বজনরা হাসপাতালের চিকিৎসকের দেওয়া রোগ নির্ণয়ের জন্য সহস্রাধিক ব্যবস্থাপত্র জমা দিয়ে থাকেন। সকাল ৮টা থেকে ১২ ঘন্টায় নমূনা পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলাফল দিতে পারছে দেড়শ' থেকে দুইশ'। ফলে অধিকাংশ স্বজন বেসরকারি প্যাথলজি সেন্টারগুলোতে ভিড় করছেন।

রমেক হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল প্যাথলজি বিভাগের চিকিৎসক সহকারী অধ্যাপক ডা. শিহাব মো. রেজওয়ানুর রহমান জানান, আগের পাঁচশ' শয্যার হাসপাতালের জনবল দিয়ে তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ করতে হচ্ছে। বর্তমানে হাসপাতালে এক হাজার শষ্যা থাকলেও রোগী রয়েছে দ্বিগুণের বেশি। এখন সেখানে ২০ জন কর্মরত রয়েছেন। এর মধ্যে প্যাথলজিস্ট সহকারী অধ্যাপক একজন, টেকনোলজিস্ট ৭ জন, ক্লিনিক্যাল প্যাথলজিস্ট ৩ জন, বায়ো কেমিস্ট ১ জনসহ মোট ৫ জন চিকিৎসক রয়েছে। এছাড়া ল্যাব সহকারী ৭ জন ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী একজন রয়েছেন। এর মধ্যে ২ জন টেকনোলজিস্ট পেষনে। এজন বস্নাড ব্যাংক ও অন্যজন তাজহাটে আইএইচ টিতে রয়েছেন। বর্তমানে এই বিভাগে দ্বিগুণের বেশি জনবল ও বিকল মেশিন সচল করলে রোগিদের অতিরিক্ত পয়সা খরচ করে বাইরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে না।

হাসপাতালের পরিচারক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশিকুর রহমান বলেন, আগামী ২ মাসের মধ্যে বিকল মেশিনগুলো সচল করার ব্যবস্থা নেবেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে