সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

সেতুর অভাবে ভোগান্তিতে দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ

মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
সেতুর অভাবে ভোগান্তিতে দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার চান্দালীপাড়া ও নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার বিশরপাশা বাজারে গণসংযোগ একটি সেতুর অভাবে দুর্ভোগে রয়েছে দুই জেলার লক্ষাধিক মানুষ।

এ দুই উপজেলাকে বিভক্তকারী সোমেশ্বরী নদীতে সেতু না থাকায় পারাপারে ফেরি নৌকাই তাদের একমাত্র ভরসা। এতে দুর্ভোগের পাশাপাশি ঘটছে দুর্ঘটনাও।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কর্মকর্তারা মো. শাহাবুদ্দিন বলছেন,দুর্ভোগ কমাতে সেতু নির্মানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের চান্দালীপাড়া ও নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিশরপাশা বাজারের মাঝখান সোমেশ্বরী নদীর উপরে দীর্ঘদিনেও একটি সেতু নির্মাণ হয়নি। তাই প্রতিদিনই সোমেশ্বরী নদী পারাপারে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। এছাড়াও গোদারা পার হতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে নৌকাডুবিতে মৃতু্যর মত বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটেছে।

স্থানীয়রা জানান, সোমেশ্বরী নদীর ঘাটলাটি দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী হওয়ায় সেভাবে গুরুত্ব দেন না স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ও এলজিইডি। জনপ্রতিনিধিদের ঠেলাঠেলি আর প্রশাসনের গাফিলতির জন্য ওই ঘাটে সেতু নির্মাণ হচ্ছে না।

সম্প্রতি সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের পশ্চিমাঞ্চলের শেষ গ্রাম চান্দালীপাড়া। এই গ্রামের অন্য প্রান্তে কলমাকান্দা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিশরপাশা বাজার। বাজারে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বাজারের পাশেই আঞ্চলিক সড়কের উপর একটি বাসস্ট্যান্ড রয়েছে। প্রতিদিন এই বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে করে দুই উপজেলার ঢাকাগামী যাত্রীরা আসা যাওয়া করে। অন্য প্রান্তে কিছু কাঁচা রাস্তার পরেই আবার পাকা রাস্তা রয়েছে।

গোদারা ঘাটের আশপাশের কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, এই কাঁচা রাস্তাই চান্দালীপাড়া থেকে মধ্যনগর ও কলমাকান্দা যোগাযোগের একমাত্র পথ। কিন্তু গোদরা ঘাটে সেতু না থাকায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই।

বিশরপাশা এভারগ্রীন মডেল স্কুলের অধ্যক্ষ বিপস্নব সাহা বলেন, সব সময় এই নদী পার হয়ে বিদ্যালয়ে আসে শিক্ষার্থীরা।

অনেক সময় গোদারা থেকে পরে গিয়ে বই খাতা কাপড়-চোপড় কাদায় নষ্ট হয়ে যায়। এখানে যদি একটি সেতু হতো, তাহলে দুই উপজেলার মানুষের অনেক উপকার হতো।

চান্দালীপাড়া গ্রামের মনসুর মিয়া বলেন, আমরা সুনামগঞ্জ জেলার পশ্চিমাঞ্চলের শেষ প্রান্তের বাসিন্দা। সোমেশ্বরী নদী পার হয়ে বেশির ভাগ প্রয়োজনে নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ ও ঢাকায় আসা যাওয়া করতে হয়। অনেক সময়ে এ গোদারা পার হতে গিয়ে নৌকা ডুবে মানুষও মারা গেছে। বেশ কয়েকবার এলজিইডি থেকে এসে জরিপ করে নিয়ে গেলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

কলমাকান্দা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল আলী বিশ্বাস বলেন, সেতু না হওয়ায় মানুষ ঝুঁকি নিয়ে এদিকে চলাচল করে। প্রায় সময় নৌকা ডুবে দুর্ঘটনাও ঘটছে। তাই এই নদীর উপর সেতু নির্মাণ করা খুবই প্রয়োজন।

উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন বলেন, সোমেশ্বরীতে সেতু নির্মাণের জন্য মাটির গুনাগুন ও টপও সার্ভে করা হয়েছে। ডিজাইন ইউনিটে ডিজাইন কাজ চলমান রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে