পটুয়াখালীর বাউফলে সড়ক দুর্ঘটনায় ও লঞ্চের ধাক্কায় দুইজন নিহত হয়েছে। এদিকে, টাঙ্গাইলের সখীপুরে লেবু বাগান থেকে এক ব্যবসায়ীর গলাকাট লাশ ও বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ডেকোরেটর ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি জানান, পটুয়াখালীর বাউফলে সড়ক দুর্ঘটনায় তরিকুল ইসলাম শরীফ (৩৫) নামে এক ব্যক্তি ও লঞ্চের ধাক্কায় সেন্টু প্যাদা (৫০) নামে আরেক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ছয়টার বাউফল-বগা সড়কের রাজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকার মানিক চৌকিদারের বাড়ির সামনে থেকে তরিকুলের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তরিকুল উপজেলার কনকদিয়া গ্রামের আবু বক্কর শরীফের ছেলে। পেশায় তিনি ছিলেন ভাড়ায়চালিত মোটর সাইকেলের চালক ছিলেন।
বগা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সোহেল বলেন, ধারনা করা হচ্ছে পরিবহনের কোনো গাড়ি অথবা ট্রাক তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তরিকুল মারা যান। একইদিন সকাল আটটার দিকে তেঁতুলিয়া নদীর মমিনপুর এলাকা থেকে সেন্টু প্যাদার লাশ উদ্ধার করেছে কালাইয়া বন্দর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। সেন্টু প্যাদা পেশায় একজন জেলে ছিলেন। তার বাড়ি উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের উত্তর মমিনপুর গ্রামে। তার বাবার নাম আওলাদ প্যাদা।
কালাইয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, নদীতে মাছ ধরতে গেলে লঞ্চের ধাক্কায় আহত হয়ে পানিতে তলিয়ে যান সেন্টু প্যাদা। বৃহস্পতিবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত ট্রলারের নিচ থেকে জালে পেচানো অবস্থায় সেন্টু প্যাদার লাশ উদ্ধার করা হয়।
সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি জানান, টাঙ্গাইলের সখীপুরে আব্দুস সালাম (৪৮) নামের এক ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত বুধবার রাতে উপজেলার চকচকিয়া শ্রীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সালাম ওই এলাকার মৃত আমির আলীর ছেলে। তিনি হাসানগঞ্জ চকচকিয়া বাজারে একটি মনোহারী দোকান করতেন।
জানা যায়, বুধবার রাত ১০টার দিকে তিনি দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন। অনেক রাত পর্যন্ত বাড়ি না আসায় স্বজনরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পাশের একটি লেবুর বাগানে তার গলাকাটা লাশ দেখতে পায় স্বজনরা।
নিহতের মেয়ে ফাতেমা আক্তার বলেন, 'আমার জানামতে বাবার কোনো শত্রম্ন ছিল না। যারা আমার বাবাকে জবাই করে হত্যা করেছে আমি তাদের বিচার চাই।'
সখীপুর থানার সেকেন্ড অফিসার মোশারফ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি জানান, দুপচাঁচিয়া উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামে ফিরোজ শাহ(৩৫) নামের এক ডেকোরেটর ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নের বালুকাপাড়া গ্রামের কলিমুদ্দিনের ছেলে ও ফুলতলী বাজারের আলস্নারদান ডেকোরেটরের স্বত্বাধিকারী। ফিরোজ শেরপুর গ্রামের জনৈক জাহিদুল ইসলামের মেয়ের বিয়ে অনুষ্ঠানের ডেকোরেটরের কাজ করার জন্য এসেছিলেন। গত বুধবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় এ ঘটনাটি ঘটেছে। তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে কি না তা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, ফিরোজ বুধবার শেরপুর তালুকপাড়া গ্রামে জাহিদুল ইসলামের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানের ডেকোরেটরের কাজ করতে এসেছিলেন। পরদিন বৃহস্পতিবার তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান এলাকাবাসী। পরে থানায় খবর দিয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
দুপচাঁচিয়া থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলেই বোঝা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা। সে মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।