বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২

লংগদুতে স্কুল ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

লংগদু (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
  ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
লংগদুতে স্কুল ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

এক কোটির অধিক টাকা ব্যয়ে সোনারগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুইতলা ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ভবন নির্মাণকাজে নিম্নমানের ইট, বালু ও পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। তারা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

জানা গেছে, ২০২৪ সালের মাঝামাঝি পার্বত্য জেলা রাঙামাটির লংগদু উপজেলার গুলশাখালী ইউনিয়নের সোনারগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল বিশিষ্ট ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। কাজটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বাস্তবায়ন করছে। এতে সোয়া কোটি টাকার অধিক অর্থাৎ ১ কোটি ২০ লাখ ৫৮ হাজার ২৯৯ টাকা বরাদ্দে কাজ পান স্থানীয় রিপন কুমার দাশ নামে এক ঠিকাদার। নির্মাণকাজ শুরুর পর থেকেই ঠিকাদার নিম্নমানের ইট, বালু ও পাথর ব্যবহার করছেন। নির্মাণাধীন ভবনে পস্নাস্টারের সময়ই ফাটল সহ আস্তর ভেঙ্গে পড়ার চিত্র দেখা গেছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে এসব বিষয় নিয়ে এলজিইডির প্রকৌশল বিভাগে অভিযোগ করা হয়েছে। তারপরও ঠিকাদার নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বপ্নের নতুন ভবন নিয়ে চিন্তিত অভিভাবকরা।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি খায়রুল হাসান বলেন, বর্তমানে নিম্নমানের ইট দিয়ে ফ্লোর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঠিকাদার। কিছু সংখক ইট এবং বালি ফ্লোরে বিছিয়েও দিয়েছে। তবে আমরা নিম্নমানের দুই নম্বর ইট দিয়ে কাজ করতে নিষেধ করেছি।

একই অভিযোগ করে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, তারা এসব দুই নম্বর ইট বোট থেকে তোলার সময়ই আমি নিষেধ করি। কিন্তু তারা শোনেনি। পরবর্তীতে এসব দুই নম্বর ইট ফ্লোরে বসালে আমরা কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেই।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য খোকন বলেন, 'ভবন নির্মাণে অনিয়মের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে দূর থেকে মনে হয় কাজে দুইনম্বরি হচ্ছে। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে চাই বিদ্যালয়টি যেহেতু রাষ্ট্রীয় সম্পদ, সুতরাং কাজ ভালো হোক।'

লংগদু উপজেলা প্রকৌশলী শামসুল আলম বলেন, আমরা নির্মাণাধীন ভবনটি পরিদর্শন করবো এবং অনিয়ম পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

লংগদু ইউএনও কফিল উদ্দীন মাহমুদ জানান, যেহেতু তথ্য দিয়েছেন খোঁজ খবর নিয়ে শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে ঠিকাদার রিপন কুমার দাশকে তার ব্যবহৃত ফোন নাম্বারে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কল ধরেনি। তাই বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে