যশোরের কেশবপুরের সাগরদাঁড়িতে বাংলা সাহিত্যের অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধূসূদন দত্তের ২০১ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মধুমেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার বিকালে প্রধান অতিথি হিসাবে ফিতা কেটে, বেলুন ও শান্তির প্রতীক কবুতর উড়িয়ে ৭দিনব্যাপী মধুমেলার উদ্বোধন করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকার।
মধু মেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে মধুমঞ্চে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকার।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মধু মেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব কেশবপুর ইউএনও মো. জাকির হোসেন ও থানার ওসি আনোয়ার হোসেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যশোরের সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. খন্দকার এনামুল কবির, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও উপজেলা সভাপতি আলহাজ আবুল হোসেন আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মো. মোস্তফিজুর রহমান, জামায়াতে ইসলামীর যশোর জেলা আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, যশোর পৌরসভার সাবেক পৌর চেয়ারম্যান ও সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসহক, যশোর ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ লিটু প্রমুখ।
অন্যদিকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ছিলেন পাঁজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উজ্জ্বল ব্যানার্জী ও কেশবপুর হাজী আব্দুল মোতালেব মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক সেলিম রেজা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিল্পী মনির খান দর্শক মাতান। শিল্পী আব্দুস সাত্তার খান লোকসংগীত পরিবেশন করেন। রাতে মণিরামপুর আনন্দ অপেরা অভিনীত চরিত্রহীন যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভা শেষে মধু মঞ্চে নাটক, যাত্রাপালাসহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবারের ন্যায় মেলায় আগতদের মাঝে মেলা আকর্ষণীয় করে তুলতে মেলার উন্মুক্ত মঞ্চে কবিতা আবৃত্তি, নাটক, যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এছাড়া মেলার মাঠে আনন্দ উপভোগের জন্য যাত্রা, কৃষি মেলা, সার্কাস, মৃতু্যকুপ, নাগোরদোলা, যাদু প্রদর্শনী, কৌতুকসহ বিভিন্ন বিনোদনেরও আয়োজন করা হয়েছে।