পাঁচ জেলায় হত্যা ও মাদক মামলার আসামিসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। বরিশাল, ময়মনসিংহ, নোয়াখালীর সুবর্ণচর, সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আঞ্চলিক অফিস ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত-
বরিশাল অফিস জানিয়েছে, বরিশালের স্কুলছাত্র রাব্বি হাওলাদার (১৮) হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি সাগর খন্দকারকে গ্রেপ্তার করেছের্ যাব। শনিবার জেলার বাবুগঞ্জ থানাধীন পশ্চিম রহমতপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।র্ যাব-৮ এর সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
র্
যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তার সাগরসহ অন্য আসামিরা গত ১৯ জানুয়ারি পূর্ব বিরোধের জের ধরে রাব্বি হাওলাদারকে প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দ্বারা কুপিয়ে হত্যা করে। পরে বরিশাল মহানগরের বিমানবন্দর থানাধীন মাধবপাশা ইউনিয়নের পূর্ব রহমতপুর গ্রামের ঈদগাহ ময়দানের উত্তর পাশে জমির বাঁধের উপর লাশ ফেলে রাখে। নিহতের পরিবার কোথাও খুঁজে না পেয়ে ২১ জানুয়ারি বিমানবন্দর থানায় নিখোঁজ ডায়রী করে। পরবর্তীতে গত ২২ জানুয়ারি নিহতের বড় ভাই উলেস্নখিত স্থানে নীল রংয়ের পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় তার লাশ দেখতে পান। এদিনই নিহতর বড় ভাই সাব্বির হাওলাদার বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় হত্যা মামলা করেন, যার মামলা নং-১৯। গ্রেপ্তার আসামিকে বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ বু্যরো জানায়, ময়মনসিংহে ২১ কেজি ২০০ গ্রাম গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছের্ যাব-১৪। শনিবার ভোররাতে সদরের শম্ভুগঞ্জ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন- শেরপুরের নকলা থানার রামপুর গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে চান মিয়া (৬০) ও রমজান আলীর ছেলে খাইরুল ইসলাম রতন (১৯)।
শনিবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতের্ যাব জানায়, সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের শম্ভুগঞ্জ রেলক্রসিংয়ের পূর্বে মোর্শেদের চায়ের দোকানের সামনের রাস্তার ওপর চেক পোস্ট পরিচালনা করার সময় তাদের মাদকসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২১ কেজি ২০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার মাদকের বাজারমূল্য ৩ লাখ ১৮ হাজার টাকা।
র্
যাব-১৪ মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার লুৎফা বেগম বলেন, মামলা দায়ের করে গ্রেপ্তারদের কোতোয়ালী মডেল হস্তান্তর করা হয়েছে।
সুবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি জানান, নোয়াখালীর সুবর্ণচরের মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে নুর আমিন (৫০) নামে এক গাঁজা ব্যবসায়ীকে ৭ কেজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তার করেছে চরজব্বর থানাধীন ছনখোলা ক্যাম্প পুলিশ। রোববার রাতে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চরনোমান এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গাঁজাসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
চরজব্বর থানার ওসি শাহীন মিয়া জানান, এ ঘটনায় নুর আমিনকে প্রধান আসামি করে মাদকদ্রব্য আইনে একটি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।
শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি জানান, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় পুলিশের অভিযানে এক কেজি গাঁজাসহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার বিকালে অভিযান চালিয়ে উপজেলার খানপুর এলাকার জাহাজঘাটা নামক স্থান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার যুবকের নাম ইকরামুজ্জামান (২৩)। তিনি সাতক্ষীরা সদর থানার কুলিয়াডাঙ্গা গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে।
শ্যামনগর থানার ওসি হুমায়ুন কবির মোলস্না জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা হয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি জানান, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে ৫ কেজি গাঁজাসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও থানা পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করে শনিবার সন্ধ্যায় জানায়, শুক্রবার রাতে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের সিংহডাঙা নাম স্থানে পৃথক অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় চক সিংহডাঙ্গায় সন্দেহভাজন রবিউল ইসলাম (২৭), রমজান আলী (৩৮), নাজমুল মিয়া নাজু (২৬) ও আল আমিন (২০) নামের ৪ জন গ্রেপ্তার করে তাদের কাছ থেকে আলাদা পোটলায় সাড়ে ৩ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দিয়ে মালামালসহ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।