মেহেরপুর জেলায় এবার আলুর ফলন ভালো হলেও কাঙ্ক্ষিত মুল্য না পাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছেন আলুচাষিরা। চাষিরা বলছেন, বর্তমান বাজার দরে উৎপাদন খরচই উঠছে না তাদের।
জানা যায়, মেহেরপুরে এবার মৌসুমের শুরু থেকেই আলুর বাজারে চলছে মন্দাভাব। যেখানে গত মৌসুমে আলু চাষ করে এক একজন চাষি লাখ টাকা ঘরে তুলে নিয়েছিলেন, তারাই এবার লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। জেলার কৃষকরা লাভের আশায় আগাম আলু চাষ করেছেন। কিন্তু লাভ তো দূরের কথা, খরচের টাকা ওঠাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে আলু চাষিদের।
কৃষি বিভাগের হিসেবে, জেলায় এবার আলুর আবাদ হয়েছে ১ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার আলুর ফলন ভালো হয়েছে। বিঘা প্রতি ৬০-৭০ মণ পর্যন্ত ফলন পাচ্ছেন চাষিরা। ফলনে চাষিরা খুশি হলেও আলুর কাঙ্ক্ষিত মুল্য না পাওয়ায় তারা হতাশ হয়ে পড়েছেন। তেলের দাম বৃদ্ধিসহ আলু আবাদের আনুসাঙ্গিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় চাষিদের এবার বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ৪৫-৫০ হাজার টাকা। কিন্তু বর্তমান বাজারে চাষিরা ব্যবসায়ীদের কাছে ১০-১২ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করছেন। এই দাবে বিক্রি করায় তাদের আবাদের খরচই উঠছে না।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত মৌসুমে বাজারে চাহিদা থাকায় ক্ষেত থেকেই আলু কিনে নিয়ে যেতেন পাইকার এবং ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এবার বিধিবাম। বাজারে আলু তুলেও বিক্রি করতে পারছেন না কৃষকরা। মাত্র দেড় মাস আগেও দাম জাতভেদে পাকরি আলুর দাম মণপ্রতি ছিল ১ হাজার ৫০০ টাকা, বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৪০০ টাকায়। অন্যদিকে ডায়মন্ড জাতের আলুর দাম ছিল মণপ্রতি ১ হাজার ২০০ টাকা, বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়।
মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার যায়যায়দিনকে জানান, এখন আলুর বাজারদর কম, কিন্তু এ অবস্থা বেশি দিন থাকবে না। যেভাবে হোক, আলু সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নিতে হবে। তাহলে পরবর্তীতে আলু বিক্রি করে চাষি লাভবান হবেন।