বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২

হোসেনপুরে গাছে গাছে আগাম আমের মুকুল

হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
হোসেনপুরে গাছে গাছে আগাম আমের মুকুল

চলছে মাঘ মাস। ফাল্গুন আসতে এখনও দুই সপ্তাহ বাকি। এরই মধ্যে উপজেলার সর্বত্র গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে আমের মুকুল। সামান্য দৃষ্টি নিক্ষেপেই চোখে পড়ে মুকুলে ছেয়ে আছে অসংখ্য আমগাছ। এভাবে ফাল্গুনের আগেই গাছে গাছে প্রস্ফুটিত আমের মুকুল সর্বত্র ছড়াচ্ছে হাল্কা স্বর্ণালি আভা। এরই মধ্যে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো হোসেনপুর উপজেলার বিভিন্ন গাছেও একইভাবে উঁকি দিতে শুরু করেছে আম্রমুকুল। গাছে গাছে আগাম মুকুলের দেখা মেলায় চাষিরা বেশ খুশি। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, মৌসুম শুরুর আগে গাছে মুকুল আসা তেমনটা ভাল লক্ষণ নয়। কারণ, আগেভাগে আসা মুকুল কুয়াশায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ফলে কমবে আমের ফলন। তবে গাছে গাছে আগাম মুকুলে চাষিরা খুশি। তারা ইতোমধ্যে বাগানের পরিচর্যা শুরু করে দিয়েছেন।

তবে এবার মাঘের শুরু থেকে প্রস্ফুটিত হতে শুরু করেছে মুকুল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার গাছে গাছে মুকুলের সমারোহ ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর,সিদলা,আড়াই বাড়িয়া, পুমদি এলাকায় আমগাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। কিছু কিছু গাছে মুকুলের পরিমাণ কম হলেও সৌরভ ছড়াচ্ছে বাতাসে। বাগানের গাছগুলোর যত্ন নিতে পরিশ্রম শুরু করে দিয়েছেন চাষিরা। ভাল ফলনের আশায় জোরেশোরে বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত তারা। হোসেনপুরের বিভিন্ন এলাকাজুড়ে এখনও শীতের আমেজ বিরাজ করলেও আগাম জাতের আমগাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। এ অঞ্চলে ৩৫ থেকে ৪০ জাতের আম চাষ হয়ে থাকে। আর সারা বাংলাদেশে রয়েছে ২শ' ৫০ জাতের। এর মধ্যে উলেস্নখযোগ্য হচ্ছে ফজলী, গোপালভোগ, মোহনভোগ, ন্যাংড়া, ক্ষীরসাপাত, হিমসাগর, কৃষাণভোগ, মলিস্নকা, লক্ষণা, আম্রপলি, দুধসর, দুধকলম, বিন্দাবনী, আরজান, রাণী পসন, মিশ্রিদানা, সিঁন্দুরী, আশ্বিনা সেই সঙ্গে নানা প্রকার গুটিআম। ডিসেম্বরের শেষদিক থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি অবধি বারোমাসি বা লোকাল জাতের আমগাছে মুকুল আসা শুরু হয়।

এবার জানুয়ারির শুরুতেই মুকুল আসা শুরু হয়েছে আগাম জাতের গাছে। ফেব্রম্নয়ারির মাঝামাঝিতে মূলত আমগাছে মুকুল আসা শুরু হয়। এবার একটু আগেই প্রস্ফুটিত হচ্ছে আমের মুকুল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মাসের মাঝামাঝিতে সব গাছে মুকুল দেখা যাবে বলে জানা যায়। প্রত্যেক বছরই কিছু গাছে আগাম মুকুল আসে। ঘন কুয়াশার কবলে না পড়লে, এসব মুকুলেও ভাল আম হবে।

তবে নিয়ম মেনে মাঘের শেষদিকে যেসব গাছে মুকুল আসে, তাতে ভাল ফলন হয়। কৃষি বিভাগ জানায়, আমের ফলন নির্ভর করে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন বাগান মালিকরাও। রোগবালাইয়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী পরিচর্যার প্রয়োজনীয় ওষুধ স্প্রে করছেন তারা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে