ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় এই প্রথমবারের মতো সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষ শুরু হয়েছে। উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের ধাতুর পহেলা গ্রামের ফসলের মাঠে ৫০ একর জমিতে রাইস ট্রান্সপস্নান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ করা হয়। এ উপলক্ষে বুধবার সকালে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের ধাতুর পহেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউএনও গাজালা পারভীন রুহি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক এ. এইচ. মামুন, ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন, কৃষক আলমগীর মিয়া, আখাউড়া প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি প্রমুখ।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কৃষি প্রণোদনার আওতায় উপজেলার ধাতুরপহেলা গ্রামে ১৫০ জন কৃষকের ৫০ একর জমিতে রাইস ট্রান্সপস্নান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ করা হচ্ছে। এতে কৃষকের সময়, শ্রম এবং খরচ কম হবে।
সুজানগর (পাবনা) প্রতিনিধি জানান, সুজানগরে রাইস ট্রান্সপস্নান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে বোরো (উফশী) ধানের সমলয়ে চাষাবাদে চারা রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রবি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় মঙ্গলবার বিকেলে পাবনার সুজানগর পৌরসভার বলরামপুর মাঠে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে, স্থানীয় সুধীজন ও কৃষক-কৃষাণীদের নিয়ে উদ্বোধন শেষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ির উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. জামাল উদ্দিন। ইউএনও মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম। এ সময় অতিরিক্ত কৃষি অফিসার ফারুক হোসেন চৌধুরী, কৃষি প্রকৌশলী সুমন চন্দ্র কুন্ডু, উপ সহকারী কৃষি অফিসার পার্থ প্রতিম রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রধান অতিথি কৃষিবিদ জামাল উদ্দিন বলেন, রাইসপস্নান্টার পদ্ধতি শ্রম, সময়, অর্থ সাশ্রয়ের একটি আধুনিক পদ্ধতি, যা কৃষিকে যান্ত্রিকিরণের একটি সময়োপযুগী মাধ্যম। এতে ফসলের মাঠের আন্ত:পরিচর্যা, চারার গুনগত মান ঠিক থাকে। ফলন বৃদ্ধি হয়। কৃষকের উন্নয়নের জন্য সরকার কৃষি প্রণোদনা সহায়তার আওতায় কৃষি যন্ত্র বিতরণ, সুলভ মূল্যে কৃষি উপকরণ প্রদানসহ নানাবিধ সুবিধা প্রদান করে যাচ্ছে।