চলতি ইরিবোরো মৌসুমে হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার হাওড় জুড়ে ধানের ক্ষেতে মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে পাতামোড়ানো রোগ।
জানা যায়, মাজরাপোকা দমনে হাটবাজারে থেকে বিভিন্ন কিটনাশক জমিতে কিটনাশক স্প্রে করেও প্রতিকার পাচ্ছেন না চাষিরা, ফলে চলতি ইরিবোরো মৌসুমে কাঙ্খিত ফলন নিয়ে শঙ্কিত তারা।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে এবার বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১১হাজার ২শত ৮ হেক্টর।
এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের ধান ৬হজার ৭শত৫ হেক্টর, উচ্চ ফলনশীল উপসী ৪ হাজার ৪৯৮ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতে বীজ ৫ হেক্টর। এর মধ্যে হাওরে ৮হাজার ৩শত ২২ হেক্টর এবং হাওর ছাড়া ২ হাজার ৮ শত ৭৬ হেক্টর।
উলেস্নখযোগ্য জাতের সমুহের মধ্যে রয়েছে ব্রি-ধান ১০৪,৯২,৮৯,৮৮ ও বিনা ধান ২৫। এছাড়াও হাইব্রিড হীরা এসএল ৮, ব্র্যাক ৩, শক্তি ১, সুরভী ১ আবাদের তালিকায় রয়েছে।
উপজেলার মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন কৃষকদের সঙ্গে আলাপ কালে জানান, ধান গাছে ফলন আসার এমন মহুর্তে মাজরাপোকা ও পাতা মোড়ানোর আক্রান্ত জমি নিয়ে অনেকটাই হতাশ, বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না তারা।
ফলে লোকসানের আশংকা করছেন অনেকেই। একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় কিটনাশক প্রয়োগ করার পরও প্রতিকার না পাওয়ায় বাজার জুড়ে ভেজাল রাসায়নিক ও কিটনাশকের ব্যপারে সন্দেহ পোষণ করেন একাধিক কৃষক।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মাহমুদুল হাসান মিজানের সাথে আলাপ কালে মাজরাপোকা আক্রমণের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মাজরাপোকা দমনের জন্য জমিতে কঞ্চি-ডালপুতে দিলে উপকৃত হবেন কৃষক। এছাড়াও যতাযত নিয়মে ও সময়ে ইনসিপিও- বেল্ট এক্সপার্ট-বায়োচমক-লিভা ব্রাভো প্রয়োগ করলে মাজরাপোকাসহ অন্যান্য সমস্যাগুলো নিরসন করা সম্ভব। ভেজাল কিটনাশকের ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, মুলত কিটনাশকের সঠিক পরিমাপ ও নির্ধারিত সময়ে স্প্রে না করার কারনে কোন কোন কৃষক এর সুফল পাচ্ছেন না। তবে সংশ্লিষ্ট দপ্তর নিয়মিত মাঠও বাজার তদারকি করে আসছে।