নভেম্বর মাসের ১৪ তারিখ বৃহস্পতিবার, সন্ধ্যায় সকাল-সন্ধ্যা হোমিও হলে যায়যায়দিন ফ্রেন্ডস ফোরাম, গাজীপুর জেলা শাখার এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন খোন্দকার শাহিদুল হক এবং সঞ্চালনায় ছিলেন- তপন কুমার চক্রবর্তী। শুরুতেই সভাপতি সভার সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সভার আলোচ্যসূচি সম্পর্কে অবহিত করেন। ২১ নভেম্বর ফ্রেন্ডস ফোরাম ১৭ বছরে পদার্পণ করবে এ উপলক্ষে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন, সড়কে অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং গাজীপুর জেলা কার্যকরী কমিটি গঠনের বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করার জন্য আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে তপন কুমার চক্রবর্তী জানান যে, সাধারণ রিকশা নিবন্ধন করা হলেও অটোরিকশা নিবন্ধিত ও নিয়ন্ত্রিত না হওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। ফলে অকালে অনেক প্রাণ ঝরে যাচ্ছে কিংবা কেউ কেউ পঙ্গু হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে।? হয় সড়ক থেকে অটোরিকশা তুলে দিতে হবে, অন্যথায় অটোরিকশা চালকদের প্রশিক্ষণ প্রদানসহ অটোরিকশা নিবন্ধন করার ব্যবস্থা নিতে হবে। ?অননুমোদিত গাড়ি দিনের পর দিন সড়কে নিয়ন্ত্রণবিহীন চলতে থাকলে চাঁদাবাজি বৃদ্ধির পাশাপাশি জনদুর্ভোগ বাড়তেই থাকবে। একটি স্বাধীন দেশে যা কখনো কারও কাম্য হতে পারে না। এই প্রস্তাবে সবাই সম্মতি জ্ঞাপন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে নূরে আলম সিদ্দিকী জানান যে, এ বছর অত্যন্ত জাঁকজমকভাবে উদযাপন করা দরকার। বিস্তারিত আলোচনা শেষে ২৩ নভেম্বর ইউরোবাংলা রেস্টুরেন্ট, তাজ টাওয়ার, শিববাড়ি মোড়, গাজীপুরে উক্ত অনুষ্ঠান করার বিষয়ে সবাই একমত পোষণ করেন।
মো. ওমর ফারুক জিতু একই তারিখে ফ্রেন্ডস ফোরামের কার্যকরী কমিটি গঠনের বিষয়ে প্রস্তাব করলে তা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
অনুষ্ঠানে ডাক্তার সাদিয়া সুলতানা নবান্ন উপলক্ষে পিঠামেলার আয়োজনের প্রস্তাবে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় বিএম নাসির উদ্দিন, মোহাম্মদ জিলস্নুর রহমান, মো. শফিকুল ইসলাম খান, আরমান হোসাইন, আল জাব্বির, মোহাম্মদ রাসুসহ অনেকেই তাদের নিজ নিজ মতামত ব্যক্ত করে গৃহীত কর্মসূচির প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন।
সবার মতামতের ভিত্তিতে গৃহীত সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে বাস্তবায়নে এবং অভ্যর্থনার জন্য একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়। উপ-কমিটিতে তপন কুমার চক্রবর্তীকে আহ্বায়ক, নূরে আলম সিদ্দিকীকে সদস্য সচিব এবং মো. ওমর ফারুক জিতু, ডাক্তার সাদিয়া সুলতানা ও আফরোজা আক্তার সানিকে সদস্য হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
সংগঠনের সদস্য ডা. সাদিয়া সুলতানার মাতা মোসা. হালিমা বেগম গত ১০ নভেম্বর বার্ধক্যজনিত কারণে মৃতু্য হলে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয় এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে একটি শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। পরিশেষে গৃহীত সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে বাস্তবায়নে সবার আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং সহযোগিতা কামনা করে সভাপতি পুনরায় সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার মূলতবি ঘোষণা করেন।
আহ্বায়ক, ফ্রেন্ডস ফোরাম গাজীপুর।