দেখতে দেখতে শেষ হয়ে যাচ্ছে আমের মৌসুম। হিমসাগর, গোপাল ভোগ ফুরিয়ে গেছে। পাওয়া যাচ্ছে আম্রপলি, হাঁড়ি ভাঙা, ল্যাংড়া, লক্ষণভোগ। তবে দাম একটু চড়া।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এরপরও আমের ফলন ভালো হয়েছে। আবার পরিবহণে সমস্যা না হওয়ায় সরবরাহও ছিল স্বাভাবিক। যে কারণে তুলনামূলক কম দামেই এবার আম বিক্রি হয়েছে।
তারা বলছেন, সরবরাহ ভালো থাকায় কিছুদিন আগেও আম্রপলি ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। কিছু কিছু আম ৩০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হয়েছে। তবে আস্তে আস্তে আম ফুরিয়ে যাওয়ায় দাম বাড়ছে। ইতিমধ্যে আমের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। সামনে দাম আরও বাড়তে পারে।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আম্রপলির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা। হাঁড়ি ভাঙা ৯০-১২০ টাকা কেজি। ল্যাংড়ার কেজি ১০০-১৫০ টাকা।
রামপুরার ব্যবসায়ী সাগর বলেন, আমের মৌসুম শেষ হয়ে যাচ্ছে। হিমসাগর অনেক আগেই ফুরিয়ে গেছে। আম্রপলি এবং ল্যাংড়াও ফুরিয়ে যাওয়ার পথে। এ কারণে বাজারে এখন যে আম পাওয়া যাচ্ছে তার দাম একটু বেশি।
তিনি বলেন, কিছুদিন আগেও আম্রপলির কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি করেছি।
ল্যাংড়া ৬০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। এখন আম্রপলি ৮০ টাকা এবং ল্যাংড়া ১২০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। হাঁড়ি ভাঙা আমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা।
মালিবাগের ব্যবসায়ী আশিক বলেন, বাজারে এখন রাজশাহীর আম্রপলি, ল্যাংড়া আম পাওয়া যাচ্ছে। রংপুর থেকে আসছে হাঁড়ি ভাঙা। আম আর খুব বেশি দিন পাওয়া যাবে না। আম শেষ হয়ে আসছে এ কারণে দাম বাড়ছে। এখন হাঁড়ি ভাঙা ১১০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কয়দিন পর ১৫০ টাকায়ও পাওয়া যাবে না।
বাড্ডায় ভ্যানে আম্রপলি আম বিক্রি করা ইব্রাহিম বলেন, কিছুদিন আগে আম্রপলি ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছি। এখন আড়তে আমের দাম বেড়েছে। ৮০ টাকার নিচে আম্রপলির কেজি বিক্রি করার উপায় নেই। হিমসাগর এখন আর পাওয়া যাচ্ছে না। ল্যাংড়াও খুব একটা পাওয়া যাচ্ছে না। যা পাওয়া যাচ্ছে তার মান ভালো না। এ কারণে শুধু আম্রপলি বিক্রি করছি।
Copyright JaiJaiDin ©2021
Design and developed by Orangebd