দীর্ঘ বিরতির পর আজ গণভবনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর বৈঠক। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বুধবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সভায় উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিল্পব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চলমান করোনা পরিস্থিতিতে দেশের সামগ্রিক কার্যক্রম, পাঁচ আসনের আসন্ন উপনির্বাচন, স্থানীয় সরকার পর্যায়ের ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার নির্বাচন নিয়ে দলের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। পাশাপাশি সহযোগী ও জেলা-মহানগরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ও মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি অনুমোদনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হতে পারে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর দু'জন সদস্য যায়যায়দিনকে বলেন, করোনার কারণে মাঠের রাজনীতি দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। দল পরিচালনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতেই তিনি (শেখ হাসিনা) সভাপতিমন্ডলীর সদস্যদের ডেকেছেন। এ সভায় আসন্ন উপনির্বাচন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন ও তৃণমূল সংগঠন নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানান তারা।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা বলছেন, নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে। বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গতবারের মতো এবার যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে দিকনির্দেশনা আসতে পারে।
তাছাড়া পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রার্থীদের যোগ্যতা যাচাইয়ের ব্যাপারে নির্দেশনা দিতে পারেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। সহযোগী সংগঠনসমূহের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
এদিকে, ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মহানগর, জেলা, উপজেলা ও সহযোগী সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দেওয়ার সময়সীমা শেষ হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের খসড়া কমিটি জমা দেওয়া হয়েছে। যুবলীগ ছাড়া বাকি সব সহযোগী সংগঠনের কমিটিও দলের দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে। তবে সম্মেলন হওয়া অনেক জেলা-উপজেলা এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা জমা দেয়নি বলে জানা গেছে।
সূত্রমতে, সোমবার রাতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দেওয়া হয়েছে। করোনার আগেই কমিটি জমা দেয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ। তাছাড়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ ও মৎস্যজীবী লীগ এরইমধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দিয়েছে। সভাপতিমন্ডলীর আজকের সভায় এসব সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন নিয়ে আলোচনা হতে পারে। অনুমোদনের পর ঘোষণা করা হবে পূর্ণাঙ্গ কমিটি।
অপরদিকে, যুবলীগের জাতীয় কংগ্রেসের ১০ মাস পরও পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দিতে পারেনি সংগঠনের নেতারা। তারা বলছেন, কমিটি গঠনের কাজ চলমান আছে। একটি স্বচ্ছ ও বিতর্কমুক্ত কমিটি উপহার দিতে চান। তাই যাচাই-বাছাই করতে কিছুটা সময় লাগছে। গত বছরের ২৯ নভেম্বর যুবলীগের জাতীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়।