গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এক প্রসূতির অবহেলাজনিত মৃতু্যর অভিযোগে হাসপাতালটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুলস্নাহ চৌধুরীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ বু্যরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদা আক্তার নতুন এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে মামলা করেন প্রসূতি নাসরিন আক্তারের স্বামী এস এ আলম সবুজ। আদালত পিবিআই অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ২১ জানুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল, হাসপাতালটির চিকিৎসক ডা. নাসরিন, ডা. শওকত আলী আরমান, গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. দেলোয়ার হোসেন এবং সেবিকা শংকরী রাণী সরকার।
মামলার অভিযোগে বাদী এস এ আলম সবুজ উলেস্নখ করেন, তার স্ত্রী নাসরিন আক্তার গত ২৪ সেপ্টেম্বর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের ধারণা ছিল, সেখানে ভালো চিকিৎসা পাবেন। কিন্তু সেবা পাননি। নাসরিন আক্তারের প্রসব বেদনার কথা সেবিকা শংকরী রাণীকে বারবার জানানো হলেও তিনি গুরুত্ব দেননি। রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হলে সবুজ শংকরী রাণীকে ডাক্তার ডাকার অনুরোধ করেন। তখন শংকরী রাণী ইন্টার্ন চিকিৎসক শুভ ও নুপুরকে ডেকে আনেন।
অভিযোগে বলা হয়, তারা দুজন এসে জানান, সবকিছু ঠিক আছে। এরপর শংকরী রাণী ডা. দেলোয়ার হোসেন ও ডা. নাসরিনকে আসার জন্য ফোন করা হয়েছে বলে জানান। কিন্তু কোনো ডাক্তার আসেননি। এ সময় ভুক্তভোগীকে স্যালাইন, ব্যথানাশক ওষুধ প্রয়োগের অনুরোধ করলে তারা তা করেননি। শংকরী রাণী স্যালাইন, ব্যথানাশক ওষুধ ছাড়াই তাকে জোর করে বাচ্চা প্রসব করান। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের একপর্যায়ে সবুজের স্ত্রী একটি মেয়েসন্তান প্রসব করেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান।
Copyright JaiJaiDin ©2021
Design and developed by Orangebd