সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১

অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি জাহাজমারা সমুদ্র সৈকত

ম রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
  ১২ মার্চ ২০২২, ০০:০০
অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি জাহাজমারা সমুদ্র সৈকত

দক্ষিণ বাংলার নদী ও সমুদ্রবেষ্টিত উপজেলা রাঙ্গাবালী। এ উপজেলার পশ্চিমে আগুনমুখা নদী ও পায়রা বন্দর আর পূর্বদিকে রাবনাবাদ চ্যানেল। দক্ষিণ দিকজুড়ে আছে বঙ্গোপসাগরের বিশাল জলরাশি আর অপার সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ কয়েকটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। এই উপজেলার দক্ষিণে অবস্থিত সোনার চর, চর তুফানিয়া, জাহাজমারা চর, আশাবাড়িয়া, মায়ার চর যেন স্রষ্টার নিজ হাতে গড়া সৌন্দর্যের লীলাভূমি। দীর্ঘদিন অবহেলিত থাকলেও বিদু্যৎ সরবরাহ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে এ অঞ্চলে পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। শুরু হয়েছে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াও।

রাঙ্গাবালী উপজেলার দক্ষিণে মৌডুবী ইউনিয়নে রয়েছে জাহাজমারা সমুদ্র সৈকত। একদিকে সবুজ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট আর অন্যদিকে সুদীর্ঘ বেলাভূমি। অজস্র ঝিনুক আর লাল কাঁকড়ার অবাধ বিচরণ এ বেলাভূমিতে। ভোরে সাগরের পানি রক্তবর্ণ করে সূর্য ওঠে এখানে। সূর্যাস্ততেও মেলে অপরূপ সৌন্দর্যের হাতছানি। মনে হয় যেন সুদীর্ঘ বেলাভূমিতে আছড়ে পরা ঢেউদের বিদায় জানিয়ে সমুদ্রের পানিতে ডুবে যায় এক টুকরো লাল সূর্য।

যোগাযোগ ব্যবস্থার অসুবিধা থাকায় ইতোপূর্বে এ অঞ্চলে পর্যটকদের আগমন কম হলেও এখন বাড়তে শুরু করেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। এখন কক্সবাজার ও কুয়াকাটার মতোই মাত্র ১০ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে যাওয়া যায় এ সমুদ্র সৈকতে। ঢাকার সদরঘাট থেকে লঞ্চযোগে সরাসরি বড়বাইশদিয়াঘাট। সেখান থেকে মোটরবাইকে যাওয়া যায় জাহাজমারা সমুদ্র সৈকতে। আছে বিদু্যৎ সুবিধা। রয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা। যাত্রী ছাউনি, বসার স্থানের পাশাপাশি বহিরাগত পর্যটকদের রাত্রিযাপনের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে কটেজ। নামমাত্র খরচে এসব কটেজে নিরাপদে থাকতে পারবেন দেশি-বিদেশি পর্যটকরা। স্থানীয় মৌডুবী ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে এ পর্যটন কেন্দ্রের উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে বলে জানা গেছে।

মৌডুবী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান রাসেল জানান, 'জাহাজমারা সমুদ্র সৈকতকে আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা আমার স্বপ্ন। এ পর্যটন কেন্দ্রে অত্র এলাকার শত শত মানুষের কর্মসংস্থান হবে। আমরা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তাসহ থাকা-খাওয়ার সুব্যবস্থা করছি। চলতি মাসের মধ্যেই পর্যটন এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।' এছাড়াও পর্যটন এলাকায় যাতায়াতের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যের সুপারিশক্রমে অভ্যন্তরীণ পাকা রাস্তার কাজ দ্রম্নত সম্পন্ন হবে বলেও তিনি জানান।

স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. মহিব্বুর রহমান জানান, 'আমার নির্বাচনী ইশতেহারে জাহাজমারা সমুদ্র সৈকতের আধুনিকায়ন করার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে বিদু্যৎ পৌঁছে গেছে। নৌরুট উন্নয়নসহ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে