নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের টয়লেটে পাওয়া নবজাতককে বাঁচানো গেল না। চিকিৎসকদের অক্লান্ত চেষ্টার পর সোমবার ভোরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃতু্য হয়। গতকাল দুপুরে জলঢাকা কেন্দ্রীয় কবরস্থানে শিশুটির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে সন্তান রেখে পালানোর দু'দিন অতিবাহিত হলেও খোঁজ মেলেনি সেই মায়ের।
জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হাসান মো. রেজাওনুল কবীর বলেন, 'রোববার শ্বাসকষ্টের উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে রমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে মারা গেছে শিশুটি। দুপুরে দাফন সম্পন্ন করেছি। তার পরিচয় আমরা পাইনি এবং শিশুটির মাকেও খুঁজে পাওয়া যায়নি।'
প্রসঙ্গত, শনিবার দুপুরে প্রসব ব্যথা নিয়ে এক কিশোরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে আসেন। এরপরই হাসপাতালের টয়লেটে প্রবেশ করেন তিনি। টয়লেটে কিছুক্ষণ থাকার পর সেখান থেকে বের হয়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে চলে যান। পরে টয়লেটে ওই নবজাতক শিশুকে দেখতে পান স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ভর্তি অন্য রোগীরা। টয়লেট থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শ্বাসকষ্ট থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে তখনই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃতু্য ঘটে।