আজকের যায়যায়দিন

টিয়া পাখি উদ্ধারে গিয়ে বিদু্যৎস্পৃষ্টে মারা যাওয়া স্বেচ্ছাসেবী তাশফিয়ান আতিফের পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে যথাযথ প্রশিক্ষণ ছাড়া কোনো 'অ্যানিমেল রেসকিউ' প্রতিষ্ঠান যাতে কাজ করতে না পারে, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পুলিশের আইজির প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

নিহত উদ্ধারকর্মী আতিফের মা তানজিনা রহমান টুম্পার করা এক রিটের শুনানি শেষে বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও মোহাম্মদ আতাবুলস্নার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এবিএম শাহজাহান আকন্দ মাসুম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।

এর আগে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বিদু্যতের তারে আটকে পড়া টিয়া পাখি উদ্ধার করতে গিয়ে বিদু্যৎস্পৃষ্ট 'রবিনহুড দ্য অ্যানিমেল রেসকিউ সোসাইটি'র সদস্য তাশফিয়ান আতিফ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২২ ডিসেম্বর মারা যান। আতিফকে দগ্ধ অবস্থায় প্রথমে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও পস্নাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে। পরে তিনি মারা যান। কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ ইনসাফ বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী / কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১ কোটি ৩০ লাখ পশু

ঘটনার পর রবিনহুড দ্য অ্যানিমেল রেসকিউ সোসাইটির প্রধান আফজাল খান গণমাধ্যমকে জানান, তাদের অফিস খিলগাঁওয়ে। তারা বিপদে পড়া পশুপাখি উদ্ধারের কাজ করেন। তারা মুঠোফোনে খবর পান, হাসনাবাদ এলাকায় বিদু্যতের খুঁটিতে ঘুড়ির সুতায় একটি টিয়া পাখি আটকে আছে। এরপর তাদের পাঁচ থেকে ছয়জনের একটি দল ঘটনাস্থলে যায় পাখিটি উদ্ধারে। ঘটনাস্থলে একটি তিনতলা বাড়ির ছাদে ওঠেন উদ্ধারকারীরা। আতিফ তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে পাখিটি উদ্ধার করতে যান। তবে লাঠিটি বিদু্যতের তারে লাগার সঙ্গে সঙ্গে আগুন জলে ওঠে। এতে তিনজন বিদু্যতায়িত হন। দ্রম্নত তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও পস্নাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।

অন্যদিকে আতিফের বাবা মো. নাজমুল হোসেন সেদিন গণমাধ্যমকে জানান, তাদের বাসা লালবাগে। ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন আতিফ। পশুপাখির প্রতি ভালোবাসা থেকেই লেখাপড়ার পাশাপাশি এই কাজে যুক্ত ছিলেন তিনি।'