বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার মারাইংতং পাহাড়ে টেন্ট ক্যাম্পিং করতে এসে এক পর্যটকের রহস্যজনক মৃতু্য হয়েছে।
মৃত পর্যটক ইফতে খাইরুল আহম্মেদ আবিদ বগুড়া মেডিকেল কলেজের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলার গান্ধিনা গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে বগুড়া মেডিকেল কলেজ থেকে ১২ জন পর্যটকের একটি টিম মারাইংতং জেদী পাহাড়ে ভ্রমণের উদ্দেশে আলীকদমে আসেন। আবাসিক এলাকার টু্যর অপারেটর ইয়াছিন ভাই হোটেলের মালিক ইয়াসিনের মাধ্যমে ১২ জন পর্যটক বিকালে মারাইংতং জেদী পাহাড়ে উঠেন। সেখানে রাতে তারা টেন্ট ক্যাম্পিং করেন। গভীর রাতে আবিদ অসুস্থতা বোধ করেন। তাকে দ্রম্নত লামা সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে মৃতু্যর বিষয়টি রহস্যজনক হওয়ায় লামা থানায় মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। তবে কি কারণে এই শিক্ষার্থীর মৃতু্য হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আলীকদম টু্যর গাইড অ্যাসোসিয়েনের সাধারণ সম্পাদক চামো মার্মা জানান, মারাইংতং জেদী পাহাড়ে টু্যর অপারেটর জনৈক ইয়াছিন আরাফাতের তত্ত্বাবধানে যেসব পর্যটক মারাইংতং পাহাড়ে যান এবং রাত্রিযাপন করেন তারা উপজেলা প্রশাসনের আওতাধীন পর্যটন সেবা তথ্যকেন্দ্রে কোনো প্রকার তথ্য/ডাটা এন্ট্রি করেন না বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
টু্যর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বলেন, আবাসিক এলাকার ইয়াছিন টু্যও গাইডের সদস্য নন। বিদ্যমান নিয়ম অনুযায়ী টু্যর গাইডের সদস্য ব্যতীত পর্যটক নিয়ে আলীকদমের কোথাও যাতায়াত করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
আবাসিক এলাকার টু্যর গাইড অপারেটর ইয়াসিনের কাছে পর্যটকদের ডাটা এন্টি না করার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এখানে আমি একা নই সবাই যে যার মতো টু্যরিস্ট নিয়ে মারাইংতং পাহাড়ে ব্যবসা পরিচালনা করছে, তাই আমিও করছি।'
লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামীম শেখ পর্যটক মৃতু্যর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, 'তার শ্বাসকষ্ট বা হার্টের সমস্যা ছিল বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। এখন তার মরদেহ থানায় আনা হয়েছে। তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। তার বন্ধুরা সবাই আছেন।'