বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২

সেবা দানের সুযোগ দেওয়ার দাবি ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারদের

বিশেষ প্রতিনিধি
  ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
সেবা দানের সুযোগ দেওয়ার দাবি ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারদের

'ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা স্থানীয় জনগণের ভোটে নির্বাচিত। তাই আমরা ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। আমরা আমাদের ওয়ার্ডের সবাইকে ভালো করে জানি এবং সকলকে ভালোভাবে চিনি। তাই ইউনিয়ন পরিষদের স্বাভাবিক কর্মকান্ড (জন্ম নিবন্ধন, মৃতু্য সনদসহ) অন্যান্য রুটিন কাজ প্রায় তিনমাস ধরে বন্ধ হয়ে আছে।' এসব সাধারণ সেবা প্রদানের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরাম 'বিইউপিএফ'।

বৃহস্পতিবার

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিইউপিএফের আহ্বায়ক মো. জিলস্নুর রহমান বলেন, সরকার পতনের পর থেকে ইউনিয়ন পরিষদের স্বাভাবিক কর্মকান্ড (জন্ম নিবন্ধন, মৃতু্য সনদসহ) অন্যান্য রুটিন কাজ বন্ধ হয়ে আছে। হামলা-মামলায় চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা ইউনিয়ন পরিষদে যেতে পারছেন না।

তিনি আরও বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ বাংলাদেশ সরকারের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও শক্তিশালী কাঠামো। দেশের এ প্রতিষ্ঠানটি সাধারণ জনগণের আশা ও ভরসার আশ্রয়স্থল। কয়েকটি ইউনিয়নের কারণে সারা দেশের তৃণমূলের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙে দিলে অর্ন্তবর্তী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে এবং জনমনে অসন্তোষ দেখা দেতে পারে। যে সব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা ছাত্র জনতার আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানাই। এছাড়াও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের সুবিধাভোগী চেয়ারম্যান-মেম্বারদের অপসারণ করা হোক।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদের বহাল দাবিতে বিইউপিএফ ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সকল জেলা-উপজেলায় সমাবেশ এবং ইউএনও এবং ডিসিদের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে।

সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, গত ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বৈরাচারী সরকার রাজনৈতিক দলের প্রতীক দিয়ে প্রাচীন এ প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করেছেন। তাই ইউনিয়ন পরিষদের সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। মানুষ সেবা বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করবো যাতে ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙে না দেওয়া হয়। ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙে দিলে দেশের আইনশৃঙ্খলা এবং জনগণের সেবা মুখ থুবড়ে পড়বে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে