সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

গাছ কাটার বিষয়ে আইন করা হবে পরিবেশ উপদেষ্টা

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
গাছ কাটার বিষয়ে আইন করা হবে পরিবেশ উপদেষ্টা
রাজধানীর পল্টনে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানসহ অন্যরা -ফোকাস বাংলা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, দেশে গাছ কাটার বিষয়ে কোনো আইন নেই। গাছ কাটা নিয়ে আইনের খসড়া করা হবে। ইউক্যালিপটাসের মতো গাছ যাতে না বাড়ে তা নিয়েও কাজ করা হবে। বৃহস্পতিবার বিকালে 'নতুন বাংলাদেশে পরিবেশ, জলবায়ু ও রাজনীতি' শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় নাগরিক কমিটির আয়োজনে রাজধানীর পান্থপথের পানি ভবনে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। \হসৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, 'বিশ্বে যত পরিবেশগত সমস্যা রয়েছে তার প্রায় সব সমস্যাই বাংলাদেশে আছে। বায়ু, পানি, শব্দ সবই দূষণের কবলে। এগুলো সমাধানে অনেক সময় লাগবে। অন্তর্র্বর্তী সরকার কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে যাবে। তবে সব কাজ হয়তো শেষ করে যেতে পারব না। যারা ভোগবাদী অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখতে চায় এবং যারা জীবাশ্ম পোড়াচ্ছে তারাই জলবায়ু পরিবর্তনের বাস্তবতা মানতে চায় না। তাই মার্কিন নির্বাচনের পর জলবায়ু ইসু্য নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।' তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন হলে বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশ চলে যাবে সমুদ্রের নিচে। বাংলাদেশের সমুদ্রপৃষ্ঠের থেকে এক মিটারের মধ্যে যেসব এলাকা আছে, তা ডুবে যাবে। উপকূলীয় জেলাগুলো টিকবে কিনা, তা একটা বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন।' সেন্টমার্টিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'থাইল্যান্ডে শুধু এই বছর ১১টা প্রবাল আছে, এমন দ্বীপে পর্যটন বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ প্রবাল থেকে এলজিন সরে যাচ্ছে। বাংলাদেশে ৪৫ শতাংশ সরে গেছে। তারা বন্ধ করে দিয়েছে, আমরা বন্ধ করিনি। আমরা বলেছি, নভেম্বর, ডিসেম্বর যেতে পারবে। দুই হাজার করে লোক যেতে পারবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটাও যেতে পারে না। সরকার এই সুযোগটা দিয়েছে ওখানকার মানুষের দিকটা বিবেচনা করে। যদি সেন্টমার্টিন ডুবে যায়, তখন ওখানকার বাসিন্দাদের কী হবে? সেন্টমার্টিনে পর্যটন খাতের সঙ্গে জড়িতদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে বলেও জানান তিনি। তিনি জানান, আগ্নেয়গিরি ছাড়া পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর সবকিছু বাংলাদেশে রয়েছে। আমাকে কত বছর সময় দেবেন এই জঞ্জাল সমাধান করতে? ৫৩ বছরের জঞ্জাল চাইলেই তো সমাধান করা যায় না। নদী দখলমুক্ত করতে এবং টেকসই উন্নয়নের বিষয়ে প্রস্তাবনা দিতে নদী আছে এমন জেলার জেলা প্রশাসককে মন্ত্রণালয় থেকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, 'গত দুই মাসে ৫৭টা জেলা থেকে প্রস্তাব এসেছে। দেশের নদী, খাল, বিল, হাওড়ের তালিকা করা হয়েছে। দ্রম্নতই সেই তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।' অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআইপি সভাপতি অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান, আরডিআরসি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ, জাতীয় নাগরিক কমিটির আরিফুল ইসলাম আদিব এবং প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি ইফতেখার মাহমুদ। অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা, পরিবেশবিদ ও তরুণ পরিবেশকর্মীরা অংশ নেন এবং মতবিনিময় করেন। উপদেষ্টা এরপর সাসটেইনেবিলিটি অ্যালায়েন্সের নেতার সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে