জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায় বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এ মামুনের আবেদন মঞ্জুর করে এ রায় দেয়।
মামুনের আইনজীবী সাব্বির হামজা চৌধুরী বলেন, 'এক-এগারোর' পর জরুরি অবস্থার সময় এ মামলা দায়ের করা হয়। বিচারিক আদালত মামুনকে ১০ বছরের সাজা দেয়। পরে হাইকোর্ট খালাস দেয়। এর বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করে।
তিনি আরও বলেন, 'আপিল বিভাগ মামলাটি পুনরায় শুনানির জন্য হাইকোর্টে পাঠায়। পুনরায় শুনানির আদেশের বিরুদ্ধে গিয়াস উদ্দিন মামুন রিভিউ করেন। সেই রিভিউ আদালত মঞ্জুর করে; এরপর তার রিভিউ আবেদন আপিলে রূপান্তর হয়। আজ সেই আপিল মঞ্জুর করেছেন। ফলে হাইকোর্টের খালাসের রায় বহাল থাকল।'
দুদকের নোটিশের পরও সম্পদের হিসাব দাখিল না করায় ২০০৭ সালের ৮ মে ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
মামলায় মামুনের বিরুদ্ধে ১০১ কোটি ৭৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ মার্চ জজ আদালত মামুনকে ১০ বছরের কারাদন্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের দন্ড দেয়।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করলে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ ২০১২ সালের ৩০ জুলাই মামুনকে খালাস দেয়।
হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে পরে লিভ টু আপিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১৫ সালের ১ নভেম্বর হাইকোর্টের খালাসের রায় বাতিল করে আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে হাইকোর্টে পুনরায় আপিল শুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়।
আপিল বিভাগের ওই আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। আপিল বিভাগ তার রিভিউ মঞ্জুর করলে তিনি আপিল করেন, যা বৃহস্পতিবার মঞ্জুর করা হলো।