নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিএনপির এক পক্ষের হামলায় অন্য পক্ষের কর্মী শফিকুল ইসলাম (৪৫) নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার (২৪ মে) দুপুরে নিহতের ছোট ভাই খাইরুল ইসলাম বাদী হয়ে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জামাল উদ্দিনকে প্রধান করে বিএনপির ২৮ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করেন। অজ্ঞাত আরও ৯০ জনকে আসামি করা হয়।
এ মামলায় তাজুল ইসলামকে (৪৫) গ্রেপ্তার দেখায়। তাজুল ইসলাম পৌর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি। তিনি মামলার ১৬ নম্বর আসামি।
নিহত শফিকুল ইসলাম উপজেলার বাকলজোড়া ইউনিয়নের আব্বাছনগর এলাকার বাসিন্দা। তিনি একটি কাঠের মিলে শ্রমিকের কাজ করতেন।
জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হামিদুর রহমানের পক্ষে তাঁর কর্মী-সমর্থকরা গত বুধবার দুপুরে দুর্গাপুর পৌর শহরসহ বিভিন্ন স্থানে আসন্ন ঈদ উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিলবোর্ড লাগাতে যান। দুর্গাপুর পৌরসভার পুলিশ মোড় এলাকায় বিলবোর্ড টানানোর সময় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন এতে বাধা দেন এবং বেশ কিছু বিলবোর্ড ভাঙচুর করেন। পরে তাঁর নেতৃত্বে ওই দিন রাত আটটার দিকে বেশ কিছু মোটরসাইকেলে এক দল লোক আব্বাছনগর এলাকায় গিয়ে হামিদুর রহমানের গ্রামের বাড়িতে হামলা চালান। হামলায় হামিদুর রহমানের ভাতিজা শফিকুল ইসলাম নিহত হন। এ সময় আরও বেশ কয়েকজন আহত হন। ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে আজ মামলা করেন।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, এ ঘটনায় জড়িত তাজুল ইসলাম নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।