রোববার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

খরচ কমাতে সবকটি নির্বাচন একসঙ্গে হতে পারে

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান
চট্টগ্রাম বু্যরো
  ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
খরচ কমাতে সবকটি নির্বাচন একসঙ্গে হতে পারে

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. তোফায়েল আহমেদ জানিয়েছেন, বিভিন্ন জায়গায় অংশীজনদের সাথে সভায় জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জোর দাবী জানিয়েছে সংস্কার কমিশনের কাছে। নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের প্রভাবমুক্ত করতে এটি ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি। আর নির্বাচনের খরচ কমাতে স্থানীয় সরকারের সবকটি নির্বাচন একসাথে করার সুপারিশ করা হতে পারে।

রোববার দুপুরে চট্টগ্রামের একটি হোটেলে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

1

ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, নির্বাচন আমাদের দেশে খুবই ব্যয়বহুল হয়েছে। ব্যয়বহুল দুই সেন্সে। একটা প্রার্থীর জন্য আরেকটা সরকারের জন্য। আমি নির্বাচন কমিশন থেকে তথ্য নিয়ে দেখেছি। গত সরকারের সময়ে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভা এবং সিটি কর্পোরেশন। এতে খরচ হয়েছে ২৩ হাজার কোটি টাকা। ১৯ লাখ লোককে নিয়োগ করা হয়েছে। দিন লেগেছে ২২৫ দিন। তাহলে এই জিনিসটা অনেক ব্যয়বহুল, অনেক সময় নষ্ট করে এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার ফলে কাজকর্ম ব্যাহত হয়।

খরচের বহর না কমালে নির্বাচনে ভালো মানুষ আসতে পারবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, একটা কমন কথা আসছে যে, ভোট কেনাবেচা হবে। ভোটের মধ্যে টাকা খরচটাও শুধু সংসদীয় পদ্ধতিতে হচ্ছে তাতো নয়। একজন মেয়র হতে হলে ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে খরচ করতে হচ্ছে। এই খরচের বহরটা কিন্ত কমাতে হবে নির্বাচন থেকে। না হলে ভালো মানুষ আসতে পারবে না নির্বাচনে।

তিনি আরও বলেন, কিছু মানুষ আছে, যাদের কোনো প্রার্থীই পছন্দ না। তারা আর ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছেন না। না, আপনি ভোটকেন্দ্রে আসুন। আপনার জন্য একটি অপশন থাকল না ভোট দেওয়ার। না ভোটের বিধানটি নির্বাচন সংস্কার কমিশন সক্রিয়ভাবে বিবেচনায় রেখেছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদন দুই-চার দিনের মধ্যেই দেওয়া হবে।

সংরক্ষিত আসন নিয়ে তিনি বলেন, সংরক্ষণ ব্যবস্থা যুগ যুগ ধরে চলবে এটাও যুক্তিসঙ্গত না। সেজন্য আগামী তিনটি নির্বাচনে ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে সংরক্ষিত আসন থাকবে।

কবে নাগাদ কমিশন রিপোর্ট জমা দেবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময় ফেব্রম্নয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত অফিসিয়ালি আছে। আমরা চেষ্টা করবো সময়ের রিপোর্টটা দিয়ে দেওয়ার।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. ফেরদৌস আরফিনা ওসমান, আবদুর রহমান, ড. মাহফুজ কবীর, মাশহুদা খাতুন শেফালী, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, ইলিয়া দেওয়ান, অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে