ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার পশ্চিম সুবিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খাদিজা বেগমের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে তাঁর অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।
রোববার (২৫ মে) দুপুরে বিদ্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে এলাকাবাসী, বিদ্যলয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অংশ নেয়।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা অভিযোগ করেন, বিদ্যালয়েরর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খাদিজা বেগম ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমল থেকে এখন পর্যন্ত নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা করে আসছেন। বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী তাঁর বাড়ি হওয়ায় নিয়মিত তিনি বিদ্যালয়ে আসেন না।
তাঁর স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। তিনি বিদ্যালয়ের সিলিপের কাজ, ক্ষুদ্র মেরামতের কাজ ও প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির জন্য বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন। এমনকি সোনালী ব্যাংক নলছিটি শাখা থেকে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে টাকা উত্তোলন করে তা আত্মসাৎ করেছেন। ভুয়া শিক্ষার্থীদের নাম দেখিয়ে টাকা তুলে তিনি আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও বিদ্যালয়ে পুরনো ভবনের মালামাল তিনি নিজের বাড়িতে নিয়ে যান।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনি দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করে গেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের সময়ও ঠিকাদারের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন তিনি। ওয়াশ ব্লক নির্মাণের সময়ও তাকে টাকা দিতে হয়েছে ঠিকাদারের। নানা নিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তিনি বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য এবং প্রতিষ্ঠাতা শহিদ হোসেন খানের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এসব কারণে তার অপসারণ দাবি করেছেন এলাকাবাসী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। মানববন্ধনকালে তিনি বিদ্যালয়ে ছিলেন না। তিনি চার দিনের ছুটি নিয়েছেন বলে সহকারী শিক্ষকরা জানিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও দাতা মো. শহিদ হোসেন খান বলেন, অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি প্রধান শিক্ষক খাদিজা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পরে আমি বিদ্যালয় থেকে চলে আসার পরে তিনি ফেসবুজে আমার সম্পর্কে নানা মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। তাঁর বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই তাকে তিনি দেখে নেবেন বলেও হুমি দেন।
এব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খাদিজা বেগম বলেন, আমি কোন অন্যায় ও অনিয়ম করিনি। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।