দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. রুহুল আমিনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মাতারবাড়ীতে তাপ বিদু্যৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণের প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আব্দুল মজিদ রোববার এই নির্দেশ দেন।
সাবেক এই জেলা প্রশাসক জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজারের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম জানান, কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ীর কয়লাভিত্তিক তাপবিদু্যৎ প্রকল্পের প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাতসহ জাল-জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। মামলায় কক্সবাজারে
ভূমি অধিগ্রহণ মামলার নথি জালিয়াতির অভিযোগে সাবেক ডিসি মো. রুহুল আমিনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, এই মামলায় তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এতদিন জামিনে মুক্ত ছিলেন। মামলার নথি জালিয়াতির বিষয়টি জানতে বাদী আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন গত বছরের ১ জুলাই আদালতে পাঁচজনের নাম উলেস্নখ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মাতারবাড়ীর বাসিন্দা এ কে এম কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর তাপ বিদু্যৎকেন্দ্র নির্মাণের ভূমি অধিগ্রহণের প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাত করায় কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। এতে তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনকে প্রধান আসামি করে ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দেন। কিন্তু তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদার মামলার ১ নম্বর আসামি রুহুল আমিনের নাম বাদ দিয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে নথিপত্র পাঠান।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি সাবেক জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নাজির স্বপন কান্তি পাল এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার জাফর আহমদ।