দৈবাৎ মন খারাপ হয়ে যাওয়া
এই শীতার্ত বিকেলে,
আমার নদীটা দূরত্বের গভীর স্রোতে চলে গিয়েছে অবলীলায়
ঘাসের বুকে এখনো লেগে আছে কয়েক ছত্র রোদের লাজুক পাখনা
আধ ময়লা হেঁশেল থেকে ভেসে আসছে কষানো মাছের পাঁচমিশালী মশলার তীব্র ঘ্রাণ!
আমার শীতকাল, আমার আউলা অনুভূতি
ক্রমাগত দৌড়ে যাচ্ছে দিকশূন্যপুর!
ন্যাপথলিন দেওয়া স্মৃতির ঝাঁপি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে
অসীম শূন্যতার তুমুল দস্তান।
সময় কত বর্ণিল! শেষমেশ মিলে না তার যথোচিত ব্যাখা,
ক্রমশ অনুভূতির ইন্তেকালে দাফন হয়ে যায় সুপ্ত বাসনার শিশির সকাল।
আসন্ন হিম সন্ধ্যায় আমি হাতে তুলে নেব বিষণ্ন বেহালা,
যত্রতত্র ছড়িয়ে দেব এক লহমায় আমার যাবতীয় ব্যর্থতা
আর বেদনার অমোঘ সুর!
সুরের মূর্চ্ছনায় খসে পড়বে আজ তোমাদের
মেকি সুখের রং করা ওই মুখোশখানি।
নকল হাসিটাকে খুলে রেখে,
আকাশের দিকে তাকিয়ে যথার্থই বলছি
যতটা দেখা যায়
মোটেও ততটা নয়
এখানে কেউ-ই তীব্রভাবে সুখি নয়।