শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

অবশেষে জয়ের দেখা পেল ব্রাদার্স

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ০৪ মে ২০২৪, ০০:০০
অবশেষে জয়ের দেখা পেল ব্রাদার্স

অবশেষে চৌদ্দতম ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেল ব্রাদার্স ইউনিয়ন লিমিটেড। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে শুক্রবার গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে তারা ৩-২ গোলে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে হারিয়ে মধুর প্রতিশোধ নিয়েছে। রেলিগেশন জোনে থাকা ব্রাদার্স এর আগে ১৩টি ম্যাচ খেলে একটিতেও জিততে পারেনি। একই দিনে মুন্সীগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে ১-১ গোলের ড্র করেছে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্র্টিং ক্লাব।

১৪ ম্যাচে মোহামেডানের ২৮ পয়েন্ট। চট্টগ্রাম আবাহনীর ১৭ পয়েন্ট। ১ পয়েন্ট পেলেও পূর্বের পঞ্চম স্থানেই থাকলো বন্দর নগরীর দলটি। শেখ জামাল ১৫ পয়েন্ট নিয়ে আছে সপ্তম স্থানে। ৬ পয়েন্ট নিয়ে দশম স্থানে ব্রাদার্স ইউনিয়ন।

প্রথম পর্বে ব্রাদার্সের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় পেয়েছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। স্বাভাবিকভাবেই শুক্রবার গোপালগঞ্জে লিগের দ্বিতীয় পর্বের এই ম্যাচে ফেভারিট ছিল ধানমন্ডির ক্লাবটিই। কিন্তু পয়েন্ট তলানিতে থাকা ব্রাদার্স ইউনিয়নকে এদিন দেখা গেল একটু ভিন্ন রূপে। প্রথম থেকেই জামালের বিপক্ষে বেশ আত্মবিশ্বাসী দেখা গেছে ব্রাদার্সের খেলোয়াড়দের। একের পর এক আক্রমণও শানিয়েছে তারা। ৪ মিনিটে শেখ জামালের মিডফিল্ডার আবদুলস্নাহর ফ্রি কিক বক্সে পেয়ে হেড নিয়েছিলেন ডিফেন্ডার মাহমুদুল হাসান কিরণ। তবে কর্নারের বিনিময়ে এ যাত্রা দলকে গোল হজমের হাত থেকে রক্ষা করেন ব্রাদার্স গোলরক্ষক। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে (৪৫+১ মিনিটে) জামালের বক্সে বল পেয়ে যান ব্রাদার্সের এলিটা কিংসলে। দীর্ঘ সময় ধরে বল ধরে রেখে সতীর্থ এলিটার উদ্দেশ্যে বাড়িয়ে দেন রাব্বি হোসেন রাহুল। বক্সে বল পেয়ে বা পায়ের দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করেন এলিটা (১-০)। প্রথমার্ধ এগিয়ে থেকেই বিশ্রামে যায় ব্রাদার্স।

ম্যাচে ফিরতে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে জামালও। ৪৮ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে আবদুলস্নাহর কর্নার বক্স থেকে ক্লিয়ার করে ব্রাদার্স। লাফিয়ে উঠেও বলের দেখা পাননি আবু তোরে। ৭২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ম্যাচে সমতা আনে শেখ জামাল। ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার হিগর লেটের স্পট কিক আশ্রয় নেয় ব্রাদার্সের জালে (১-১)। সমতায় ফেরার পর কিছুটা আত্মবিশ্বাস ফিরে পায় জুলফিকার মাহমুদ মিন্টুর শিষ্যরা। ৭৫ মিনিটে আবদুলস্নাহর জোগান দেওয়া বলে লক্ষ্যভেদ করে জামালকে এগিয়ে দেন উজবেকিস্তানের মিডফিল্ডার শাখজদ (২-১)। মাত্র ৩ মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল আদায় করে যখন জয়ের স্বপ্ন বুনছিল জামাল, ঠিক তখনই ম্যাচে নতুন নাটকীয়তার জন্ম দেয় ব্রাদার্স। ৮৪ মিনিটে আবারও ম্যাচে সমতা আনে তারা। মিডফিল্ডার ইনসান হোসেনের পাসে বল পেয়ে গোল আদায় করেন ব্রাদার্সের ফরোয়ার্ড মহসিন আহমেদ (২-২)। ৮৯ মিনিটে রাব্বি হাসান রাহুলের গোলে আবারও এগিয়ে যায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন (৩-২)। এরপর আর কোনো গোল শোধ করতে পারেনি জামাল। রেফারি শেষ বাঁশি বাজালে প্রথম জয়ের পরম আনন্দ নিয়ে মাঠে জয় উৎযাপন করে ব্রাদার্স ইউনিয়ন।

একই দিনে মুন্সীগঞ্জে চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে হতাশার ড্র করেছে মোহামেডান। ম্যাচের ২৭ মিনিটে ফরোয়ার্ড আরিফ হোসেনের গোলে ম্যাচে লিড নেয় মোহামেডান (১-০)। তবে সে লিড খুব বেশি সময় ধরে রাখতে পারেনি সাদা-কালোরা। ৩৪ মিনিটে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ডেভিড ওযুখু এর গোলে ম্যাচে সমতা আনে চট্টগ্রাম আবাহনী (১-১)। এই ব্যবধানেই ম্যাচ শেষ হয়। প্রথম পর্বে মোহামেডানের সঙ্গে গোলশূন্য (০-০) ড্র করেছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। দ্বিতীয় পর্বে এটি মোহামেডানের টানা দ্বিতীয় ড্র।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে