বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খবিরুল আহসান। তিনি একজন মানবিক মানুষ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি বিভিন্ন সময় হতদরিদ্র-অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন বহুবার। তিনি বারহাট্টায় যোগদানের আগে নেত্রকোনার পূর্বধলায় সফলতার সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বারহাট্টা উপজেলায় যোগদানের পর থেকে পাল্টে যাচ্ছে অনেক দৃশ্যপট। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে নিরলসভাবে নিয়োজিত আছেন তিনি। ২০২৪ এর ডিসেম্বরে যোগদান করে সার্বক্ষণিক সেবামূলক কাজ করে মানবিক ইউএনও হিসেবে উপজেলাবাসীর নিকট পরিচিতি লাভ করতে সক্ষম হন। নিবার্হী অফিসারের কার্যালয়ে প্রবেশ করতে লাগে না কোন অনুমতি। ইচ্ছা করলে যে কেউ তার অফিসে বিনা-অনুমতিতে প্রবেশ করতে পারেন।
জানা গেছে, মো. খবিরুল আহসান এ উপজেলায় যোগদানের পর থেকে উপজেলায় অবৈধভাবে বালু মজুদ রাখা, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ইভটিজিং, মাদক, খাবার হোটেল, নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, নিষিদ্ধ চায়না দুয়ার, অবৈধ বালু ব্যবসা বন্ধ করার জন্য তাঁর রয়েছে বিশেষ নজরদারি। রাস্তাঘাট নির্মাণ, সরকার কর্তৃক বরাদ্দ দ্রুতাতার সাথে সেবাপ্রার্থীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ায় উপজেলার জনগণের মনে ইউএনও মো. খবিরুল আহসানের প্রতি একটা আস্তা জমেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রশংসা করে অনেকেই বলেন, শত বছর বেঁচে থাকুক মানবিকতার এমন মহৎ মানুষটি। বারহাট্টার আসমা ইউনিয়নের আসমা গ্রামের জালাল মিয়া ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি একজন সংবাদ কর্মীর পোস্টের মাধ্যমে জানতে পেরে অতি দ্রুততার সাথে জালাল মিয়ার জন্য সমাজসেবা থেকে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ খবিরুল আহসান বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক সেবা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দেওয়ায়ই আমার কাজ।আর এই চেষ্টা অব্যাহত আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।