শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

বৈশ্বিক স্বর্ণ উত্তোলন ৩.৯% বৃদ্ধির পূর্বাভাস

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
  ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০
বৈশ্বিক স্বর্ণ উত্তোলন ৩.৯% বৃদ্ধির পূর্বাভাস

বিভিন্ন কারণে গত বছর স্বর্ণের বৈশ্বিক উত্তোলন কমে গেলেও চলতি বছর ধাতুটির উত্তোলন বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে গেস্নাবাল ডাটা। ঘানা, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে উত্তোলন বৃদ্ধি এ ক্ষেত্রে মূল প্রভাবকের ভূমিকা রাখবে। খবর মাইনিং টেকনোলজি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর স্বর্ণ উত্তোলনের পরিমাণ ৭ দশমিক ৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল। তবে ২০২৩ সালে মূল্যবান এই ধাতুর উত্তোলনের পরিমাণ ৩ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়াবে ১২ কোটি ১২ লাখ আউন্সে।

গেস্নাবাল ডাটার পূর্বাভাস মতে, ঘানার বিবিয়ানি খনির পাশাপাশি এডিকান, চির?্যানো ও অবুয়্যাসি খনিতে এ বছর স্বর্ণ উত্তোলন বাড়বে।

পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটিতে ২০২৩ সালে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ উত্তোলন প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা করা হচ্ছে। একই সময় নিউমন্টের কর্টেজ ও টারকোয়েজ রিজ খনি থেকে উত্তোলন বাড়ায় যুক্তরাষ্ট্রেও ধাতুটির উত্তোলন প্রবৃদ্ধি ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।

অন্যদিকে বিশ্বের শীর্ষ স্বর্ণ উত্তোলক চীনে এ বছর উত্তোলন কমে যেতে পারে বলে জানিয়েছে গেস্নাবাল ডাটা। পূর্বাভাস মতে, ২০২৩ সালে চীনে আকরিক গ্রেডের স্বর্ণ উত্তোলন ১ দশমিক ১ শতাংশ কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় স্বর্ণ উত্তোলক কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- নিউমন্ট, ব্যারিক গোল্ড, অগ্নিকো-ঈগল মাইনস, জিয়াংসি কপার, অ্যাংলোগোল্ড আশান্তি, পলিয়াস, গোল্ড ফিল্ডস, নিউক্রেস্ট, কিনরোস ও জিজিন মাইনিং গ্রম্নপ। ২০২২ সালে মোট উত্তোলিত স্বর্ণের মধ্যে ২৬ শতাংশই এসেছে এসব কোম্পানি থেকে।

মাইনিং টেকনোলজির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী খনি থেকে স্বর্ণ উত্তোলনের পরিমাণ সামনের দিনে স্থিতিশীল থাকতে পারে, বিশেষ করে ২০২৪-৩০ সাল পর্যন্ত। এ সময় বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। কারণ, হচ্ছে শীর্ষস্থানীয় উত্তোলক চীনে ও ঘানাতে বেশ কয়েকটি খনি থেকে উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের (ডবিস্নউজিসি) প্রান্তিকওয়ারি সর্বশেষ প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) স্বর্ণের বৈশ্বিক চাহিদা ৬ শতাংশ কমেছে। তবে গত পাঁচ বছরের গড় হিসেবে তৃতীয় প্রান্তিকে ধাতুটির চাহিদা ৮ শতাংশ বেড়েছে। জুলাই-সেপ্টেম্বরে চাহিদার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৪৭ দশমিক ৫ টনে। বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোয় মূল্যবান ধাতুটির বার ও স্বর্ণমুদ্রার নিম্নমুখী চাহিদা মোট বৈশ্বিক চাহিদায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ধাতুটির ঊর্ধ্বমুখী দাম ও বিশ্ব অর্থনীতিতে ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তা চাহিদা কমার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। বিশেষ করে এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের মতো মূল্যসংবেদনশীল কিছু বাজারে এমন পরিস্থিতির প্রভাব ছিল সবচেয়ে বেশি।

এদিকে সোমবার স্বর্ণের দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ আউন্সপ্রতি দুই হাজার ১৩৫ ডলার ৪০ সেন্টে ওঠে। সর্বশেষ বাজার তথ্যে গতকাল স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দর ছিল আউন্সপ্রতি দুই হাজার ২৭ ডলার ৪৯ সেন্ট। মাত্র এক দিনের ব্যবধানে ধাতুটির দাম কমেছে ১০০ ডলারের বেশি বা ২ শতাংশ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে