শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি কমেছে ১৭%

যাযাদি রিপোর্ট
  ৩০ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
ভারতে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি কমেছে ১৭%

করোনার পর টানা দুই অর্থবছর ভারতে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে। বৈশ্বিক বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্যেও গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজারটিতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের রপ্তানি ২ বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু এরপর রপ্তানিতে ছন্দপতন ঘটে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত বাজারটিতে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি কমেছে প্রায় ১৭ শতাংশ।

রপ্তানি উন্নয়ন বু্যরো (ইপিবি) তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাস জুলাই-ফেব্রম্নয়ারিতে ভারতের বাজারে ১২৭ কোটি ডলারের বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এর আগের অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল ১৫৩ কোটি ডলারের পণ্য। এর মানে চলতি অর্থবছরে ইতিমধ্যে রপ্তানি কমেছে ১৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ভারতের বাজারে রপ্তানি হওয়া শীর্ষস্থানীয় বাংলাদেশি পণ্যগুলো হচ্ছে- তৈরি পোশাক, পাট ও পাটের সুতা, হোম টেক্সটাইল, সয়াবিন তেল, হিমায়িত মাছ, পস্নাস্টিক ইত্যাদি। সার্বিকভাবে রপ্তানি কমার ক্ষেত্রে বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে তৈরি পোশাকের রপ্তানি ২৩ শতাংশ কমে যাওয়া। কারণ, ভারতে রপ্তানি হওয়া বাংলাদেশি পণ্যের প্রায় ৫০ শতাংশই তৈরি পোশাক।

অন্যদিকে রপ্তানি কমলেও ভারতের বাজার থেকে বাংলাদেশের পণ্য আমদানি বাড়ছে। দেশটির বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ৭ মাসে ৫৩৮ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে আমদানির পরিমাণ ছিল ৪৯২ কোটি ডলার। তার মানে চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারিতে আমদানি বেড়েছে ৯ শতাংশ।

জানা যায়, ভারত ২০১১ সালে বাংলাদেশকে অস্ত্র ও মাদক বাদে সব পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়। যদিও সেটা তেমন কাজে লাগাতে পারছিল না বাংলাদেশ। ২০১১ সালের দিকে বাংলাদেশের বেশ কিছু কারখানার কাছ থেকে পোশাক নিয়েও অর্থ দেয়নি ভারতীয় কোম্পানি লিলিপুট। সে জন্য কয়েক বছর পোশাক রপ্তানিতে ভাটা পড়ে। যদিও পরবর্তী সময়ে ভারতের বিভিন্ন শহরে পোশাকের নামিদামি বিদেশি অনেক ব্র্যান্ড বিক্রয়কেন্দ্র খোলায় তাতে পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধি পায়।

গত ২০২০-২১ অর্থবছরে ভারতে ৪২ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ। পরের বছর সেটি বেড়ে দাঁড়ায় ৭১ কোটি ডলার। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয় ১০১ কোটি ডলারের। তাতে দেখা যায়, দুই বছরের ব্যবধানে ভারতে তৈরি পোশাক রপ্তানি দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। ফলে বাজারটিকে সম্ভাবনাময় হিসেবে দেখা হয়।

ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে মোট ৫৮ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৭৫ কোটি ডলার। সেই হিসাবে এবার রপ্তানি কমেছে ২২ দশমিক ৯৯ শতাংশ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে