সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

নূ্যনতম এলসি মার্জিনে আনা যাবে ১১ নিত্যপণ্য

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
  ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
নূ্যনতম এলসি মার্জিনে আনা যাবে ১১ নিত্যপণ্য
নূ্যনতম এলসি মার্জিনে আনা যাবে ১১ নিত্যপণ্য

আসন্ন রমজানে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে খেজুর, ডিম, চাল, তেল, চিনি, ডালসহ ১১ পণ্যে নূ্যনতম মার্জিন বা নগদ জমার বিপরীতে ঋণপত্র (এলসি) খোলার সুযোগ দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে শূন্য মার্জিনেও এসব পণ্যের এলসি করা যাবে।

গত রমজানের আগে আট পণ্যের এলসিতে নূ্যনতম মার্জিনের নির্দেশনা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এবার তার সঙ্গে ডিম, চাল ও গম যুক্ত করা হয়েছে। গত বুধবার এসংক্রান্ত নির্দেশনা সব ব্যাংকে পাঠানো হয়। এদিকে, রমজানকে কেন্দ্র করে সরকারি পর্যায়ে নিত্যপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ভোগ্যপণ্য আমদানি ও সরবরাহকারী বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান সাধারণত নূ্যনতম মার্জিনে এলসি খুলে থাকে। তবে ডলার সংকট শুরুর পর আমদানিতে কঠোরতার আওতায় বিদেশি ফলে শতভাগ এলসি মার্জিনের বিধান করা হয়। সে অনুযায়ী খেজুর আমদানিতে এখন শতভাগ মার্জিনের বিধান রয়েছে। আর চাল ও ডিম আমদানিতে সরকারের বিশেষ অনুমোদন নিতে হয়। এখন এসব ক্ষেত্রে এলসির শর্ত শিথিল হলো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, আমদানি সহজীকরণের মাধ্যমে মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখাসহ প্রয়োজনীয় সরবরাহ নিশ্চিত করতে চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, ডিম, ছোলা, মটর, মশলা এবং খেজুর আমদানির ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে নগদ মার্জিনের হার ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে নূ্যনতম পর্যায়ে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হলো। অভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমদানি ঋণপত্র স্থাপনে অগ্রাধিকার দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত যা বলবৎ থাকবে।

এলসি মার্জিন বলতে কোনো পণ্য আমদানির সময় নূ্যনতম জমাকে বোঝানো হয়। সাধারণত কোনো পণ্যের এলসি খোলার নির্ধারিত সময় পর তা দেশে আসে। দেশে আসার পর কিছু প্রক্রিয়া শেষে নির্ধারিত অর্থ জমা করে পণ্য খালাস করেন আমদানিকারক। আর এলসি খোলার সময় ৫, ১০ শতাংশ মার্জিন তথা নগদ জমা দেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে