শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

​শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার মামলায় আদেশের অসম্মতি জানিয়ে বরিশালে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল

বরিশাল অফিস
  ২৩ নভেম্বর ২০২১, ১৯:৫১

তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার মামলায় সব অসামির খালাস দেওয়ার আদেশের অসম্মতি জানিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ ফৌজদারি আপিল দায়ের করেছেন।

মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ও বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম জাহাঙ্গীর হোসেন আপিলটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মো. রফিকুল ইসলাম আপিলটি আমলে নিয়ে আগামী ৩০ নভেম্বর আসামিদের উপস্থিতিতে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। আসামিরা হলেন, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন, বিএনপি নেতা সরোয়ার আলম, মুকুল খান, হান্নান শরীফ, বদিউজ্জামান মিন্টু, আ. আউয়াল লোকমান, ঝিন্টু তালুকদারসহ ১৬ জন। সকল আসামির বাড়ি বরিশালের গৌরনদী উপজেলায়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা গৌরনদীতে এক জনসভায় যোগ দিতে ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছা মাত্র আসামিরা তার গাড়ি বহরে হামলা করেন। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন গুরুতর আহত হন। এর আগে জনসভা স্থলের মঞ্চে হামলা ও ভাঙচুর চালায় আসামিরা। দুই হামলায় গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন আহ্বায়ক কালিয়া দমন গুহ ও আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল হক গুরুতর আহত হন। তখন বিএনপি ক্ষমতায় থাকায় মামলা দায়ের করতে ব্যর্থ হয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরবর্তীতে গৌরনদী থানায় ২০০৯ সালের ২০ জুলাই মামলা দায়ের করা হয়। ৩ জন তদন্তকারী কর্মকর্তার তদন্ত শেষে ৪০ জন আসামির বিরুদ্ধে ২০১১ সালে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৩ সালের ১৯ মে জহির উদ্দিন স্বপনসহ ১৬ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। ওই সময় ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত।

এরপর ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট বরিশালের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিহাবুল ইসলাম আসামিদের খালাস প্রদান করেন। তাই মঙ্গলবার ওই রায়ে অসম্মতি জানিয়ে আপিল করা হয়। আপিলে উল্লেখ করা হয়, ওই রায়ে ৪০ জন আসামির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ১৬ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন, ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ৬ জনের সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ, অভিযোগকারী ও জখমি নুরুল হক এবং ডাক্তার সমির মিত্রের সাক্ষী গ্রহণ না করাসহ একাধিক কারণে রাষ্ট্রপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আপিল দায়েরকারী বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এ কে এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার মামলার রায় ন্যায়বিচারের পরিপন্থি হওয়ায় আপিল দায়ের করা হয়েছে।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে