মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

​​​​​​​হরিপুরে কাজের বুয়াকে ধর্ষণ; সেটেলমেণ্ট অফিসারের বিরুদ্ধে মামলা

হরিপুর (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
  ২৩ মে ২০২২, ১৭:১৭

কাজের বুয়াকে জোর পূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের উপ- সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার ফেরদৌস খানসহ তার ব্যক্তিগত সহযোগি রফিকুলে বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অভিযুক্ত ধর্ষক হলো ঢাকা জেলার কাফরুল থানার ইব্রাহীমপুর গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলী খানের ছেলে এবং হরিপুর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের আপত্তি অফিসার। ধর্ষিতার বাড়ি হরিপুর উপজেলার খোলড়া গ্রামে।

মামলা এজাহার সূত্রে জানা যায়, হরিপুর উপজেলার টেকনিক্যাল মোড়ে মিরা নামে এক জনের বাসা ভাড়া নিয়ে হরিপুর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের উপ-সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার ফেরদৌস খান বসবাস করতেন। তার রান্নার ও ঘর পরিস্কার কাজের জন্য মামলার বাদী (ধর্ষিতা) কে কাজের বুয়া হিসেবে রাখেন। ফেরদৈাস খান প্রায় কাজের বুয়াকে বিভিন্ন ভাবে কু- প্রস্তাব দিয়ে আসতো। সে এসব বিষয় এড়িয়ে চলতো। ঘটনার দিন গত ১০ এপ্রিল বুধবার আনুমানিক সকাল ৭ টার দিকে কাজের বুয়া রান্না বান্না করে খাবার টেবিলে খাবার সাজাইয়া রাখিলে ফেরদৌস খানসহ তার সহযোগি রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি খাবারের জন্য টেবিলে আসে।

এসময় অজ্ঞাত কারণে রফিকুল রুম থেকে বের হয়ে গেলে ফেরদৌস খান ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে কাজের বুয়াকে ঝাপটে ধরে নেয়। এসময় কাজের বুয়া চিৎকার দিলে ফেরদৈাস খান তার মুখে কাপড় ঢুকাই দিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করতে থাকে এবং ফেরদৌস খানের ব্যক্তিগত সহযোগি রফিকুল ইসলাম দরজার বাইরে পাহারা দিতে থাকে। এক পর্যায় কাজের বুয়া জোরে আত্মচিৎকার দিলে তার চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ধর্ষক ফেরদৌস খান ও সহযোগি রফিকুল দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে ফেরদৌস খান বিষয়টি নিয়ে আপোষ মিমাংশা করার আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপন করেন। অবশেষে ধর্ষিতা গত ১৩ এপ্রিল হরিপুর থানায় একটি

লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে থানা কর্তৃপক্ষ অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ না করে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ২৭ এপ্রিল ঠাকুরগাঁও জেলা ও দায়রা জজ আদালতে (নারী ও শিশু ধর্ষণ ট্রাইব্যুনাল) মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালত বাদীর অভিযোগটি আমলে নিয়ে হরিপুর থানাকে বাদীর অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে আসামীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া নির্দেশ প্রদান করেন। আদালতের নির্দেশ মতে গত ৫মে হরিপুর থানা কর্তৃপক্ষ বাদীর অভিযোগটি ২০০০ সালের সারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (সংশোধনী) ০৩/এর ৯(১)/৩০ ধারা মোকাবেক মামলা হিসেবে রুজু করেন।

হরিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ঘটনার সত্যতা জানার জন্য হরিপুর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের উপ- সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার ফেরদৈাস খানের মোবাইল নাম্বারের একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও ফোন নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

যাযাদি/এসএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে